পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ কাল পরশুর গল্প OV) কোন ব্যারাম। ভূষণের কাছে সে রোগের নামটা শুনল। ভূষণের হাতে ও পায়ে औंlibएछ छgभ्रgछ । ভূষণ গোপালের মামা। বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে কিন্তু আরও বুড়ে । দেখায়। একটি ছেলে আর তিনটি মেয়ে। সামান্য কিছু লেখাপড়া শিখেছিল, জোতদার কানায়ের কাছে বিশ বাইশ বছর কাজ করার অবসরে সব আবার ভুলে গেছে। ‘কাজ ? না, কােজ নেই। অসুখে ভুগলাম দু’মাস, তারপর হাতে পায়ে হল এই প্যাচড়া। ভাগিয়ে দিয়েছে।” আজ শুধু বুড়ো নয়, ভূষণকে কেমন অদ্ভুত দেখায়। মাটির দেয়ালে ঠেস দিয়ে পা ছড়িয়ে দু'হাতের থাবা উচু ক’রে তার বসার ভঙ্গিটা পাছ-পেতে-বসা বুড়ো ভালুকের মত। থ্যাবড়া মুখটা এমন লম্বাটে হয়ে গেছে, দু’পাশ থেকে যেন পিষে দিয়েছে কোন জোরালো পেষণ যন্ত্র । 强 নগা কিছু করছে না ?” “ঘানি টানছে। তুই যা অ্যাদ্দিন করে এলি। আমায় ছাড়িয়ে দেওয়ায় কানায়ের ওপর চটে ছিল। সীতু, রাখাল, বদ্যি আর কাটা ছোড়াকে নিয়ে কেনালে কানায়ের চালের নৌকো ধরিয়ে দিতে গেছল বাহাদুরী করে। ফাটা মাথা নিয়ে ডাকাতির চার্জে জেলে গেছে। ব্যাটা কুপুত্র চণ্ডাল। দু’বেল খেতে পাবার মতলব ছিল ব্যাটার ।” ভূষণের মেয়ে রতন এসেছিল একখানা তীতের কাপড় পরে। “কি যা-ত বলছি বাবা। দাদা গেল তোমার জন্যে শোধ নিতে, তুমি বলছি তার মতলব ছিল। খেতে পাবার জন্যে কেউ জেলে যায় ? বলে সে হাঁটু-বাঁকাবার যন্ত্রণায় মুখ বাকিয়ে গোপালের পায়ে চিপ করে প্ৰণাম করল । গােপাল এসে মামাকে প্ৰণাম করেনি। যাবার সময় ভূষণের পায়ের পাতার আধ হাত তফাতে মাটুিছয়ে সে প্ৰণাম সারল। পথে নেমে জোতদার কানায়ের বাড়ীর দিকে হঁটিতে হঁটিতে গোপাল ভাবে, পৃথিবীতে যা সব ঘটছে তা তার বোধগম্য হবে না। বিশ বছরের বেশী ষে কাজ করে এসেছে সে, দু’মাস অনুখে ভুগে অশক্ত হয়ে পড়ায় কানাই उकि डांशिव দিল! কেবল তাও তো নয়। দু'এক যোজন দূরের হোক, কানায়ের সঙ্গে একটা সম্পর্কও যে আছে, তার ভূষণ মামার। ষে সম্পর্কের জোরে তারও অধিকার