পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাঘব মালাকার [ পুরাণে বলে একদা নর-রূপী ভগবান স্নানরতা গোপিনীদের বস্ত্র অপহরণ করে নিয়ে তাদের অন্তর পরীক্ষা করেছিলেন - বহুকাল পরে আবার তিনি এবার অদৃশ্য থেকে তঁর প্রতিনিধিদের দিয়ে, সমগ্র বাংলা দেশের নর-নারীর বস্তু অপহরণ করে নিয়ে, কি পরীক্ষা করে দেখছেন, তা তিনিই জানেন.তবে দুঃশাসনকে জন্ম করে বস্ত্ৰহীন হওয়ার নিদারুণ লজ্জা থেকে দ্রৌপদীকে তিনিই রক্ষা করেছিলেন, হে রাঘব মালাকার, জেলে বসে ফাটা কপালে মলম দিতে দিতে অন্তত সেই কথা স্বরণ করে মনকে সাবনা দিও-আশা করি এই ছােট কাহিনীটি পড়ার পর आश्रनि७ ठिंबा अशे क्षरे नंदन · ] রাঘব বাঁচবে কি মরবে ঠিক নেই। লাঠির ঘায়ে মাথাটা তার ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফুলবাড়ীর চৌমাথা থেকে নামমাত্র পথটা মােঠ জলা বন-বাদাড়ের ভিতর দিয়ে দু'ক্ৰোশ তফাতে মালদিয়া গিয়েছে। এই দু'ক্ৰোশের মধ্যে গা বলতে কিছু নেই, এখানে ওখানে কতগুলি কুঁড়ে জড়ো করা বসতি আছে মাত্র। হাটবারের দিন কিছু লোক চলাচল করে পথ দিয়ে, অন্যদিন সন্ধ্যায় পথটা থাকে প্রায় জনহীন । নির্জন হোক, পথটা নিরাপদ। গত কয়েক বছরের মধ্যে এ পথে কোন পথিকের বিপদ ঘটেনি। বছর তিনেক আগে দিনদুপুরে একজনকে পাগলা শেয়ালে কামড়েছিল শোনা যায়। কেইরামের পোড়া মাদুলী আঁর চুম্বকপাথরের চিকিৎসাতেও নাকি বঁচেনি। সাপটাপ হয় তো কামড়েছে দু’একজনকে ইতিমধ্যে, মুকুম হয় তো তেড়ে গেছে ঘেউঘেউ করে, গরু শিঙ নেড়েছে। কিন্তু বিশেষ কিছু কারো হয়নি, কারণ হলে সেটা মানুষের মনে থাকত। বাহাজানির দু'একটা