ਨੇ “ 8 q গৌরের আর তা নজরে পড়ল না। নিজের মুখ তার শুকিয়ে ছোট হয়ে গেছে। তার গোপন প্রেমের অনেকগুলি বিপজ্জনক পরিণতির সম্ভাবনা আচমকা হুড়মুড় করে তার বুদ্ধি-বিবেচনার ঘাড়ে এসে পড়ায় সে একেবারে অভিভূত হয়ে পড়েছে। ঘুরে ফিরে একটা কথাই কেবল তার মনে পড়তে থাকে যে এ শুধু তার চাষীর সমাজে আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধবের জানাজানির ব্যাপার নয়, এ ব্যাপারে যোগ আছে বাবুদের। চিন্তামণিকে মধুবনীতে নিয়ে এসেছে। পটলবাবু। বাবুৱা যদি তাকে শাস্তি দেয়, যদি বিপদে ফেলে, যদি জেল খাটায়, জানাজানি হয়ে গেলে ! চাষীর সমাজে তার শুধু একটু দুৰ্ণাম হবে, কিন্তু বাবুর রাগী, মানী, নিষ্ঠুর মানুষ, প্ৰতিশোধ না নিয়ে তাদের গায়ের জ্বালা কি জুড়োবে সহজে !! পরদিন সকালে গৌর মামাবাড়ী রওনা হয়ে গেল। তার মনে হল, কদিন একটু দূরে গিয়ে থেকে আসাই ভাল। রঘুকে বলে গেল, মাকে যেন দেখাশুনা করে, গরু দুইয়ে দুধ যেন যোগাড় দেয়। বাবুর বাডী । 'शांभांदीऐौ रुष्ठं९, (कन ? “বড়ামামা একটা বাছুর দেবে বলেছিল, নিয়ে আসি।” গৌরের মামাবাড়ী দাতপুরে! বাসে প্রায় আধঘণ্টার পর পৃথবীপুর, সেখান থেকে দু’কোশ দূরে সিউতি নদী পেরিয়ে দাতপুর। নদী খুব চওড়া কিন্তু মোটেই গভীর নয়, দুটি তীর নদীর তল থেকে মানুষ সমান উঁচু হবে কি হবে না। বর্ষার ক’মাস নদীতে লাল জলের স্রোত বয়ে যায়, ময়লা থিতিয়ে জল পরিষ্কার হতে না হতে জল যায় ফুরিয়ে । এক তীর ঘেষে ছোট একটি ঝরণার মত স্বচ্ছ জলের ধারা বয়ে যায়, নদীর বিস্তীর্ণ সমতল বুকে বালি চিক চিক করে । বাস আজকাল বন্ধ। ট্রেনে চেপে গৌর সিউতি নদীর পুল পেরিয়ে সানকানি ষ্টেশনে নামল । এদিকে শালবন বেশী, ছোট ষ্টেশনটি লাল কঁকড় বিছানো প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়ে চোখে পড়ে কিছুদূর গিয়েই রেললাইনের দুপাশে শালবন সুরু হয়েছে । ষ্টেশনের বাইরে একদল সঁওতাল স্ত্রী-পুরুষ গাছের নীচে আশ্রয় নিয়েছে। হয়তো কোথায় কুলির কাজ করতে যাবে, রান্নাখাওয়ার জন্য এবেলা এইখানে ঠাই গেড়েছে। কালো মাটির ইড়িতে ভাত চেপেছে, কুপিয়ে কাটা হচ্ছে মােটা একটা ঢ্যামনা সাপ। রান্নার এই মাটির হাড়ি কুড়ি সব সঙ্গে নিয়েই এর রওনা দেবে, পুরুষ ও প্রৌঢ় স্ত্রীলোকেরা টানবে শালপাতা পাকানো মোটা বিড়ি, মায়েরা কাপড় দিয়ে শিশুদের বেঁধে নেবে পিঠে। সাঁওতালদের চাষের কাজ অতি সামান্য, বনের ধারে বা বনের মধ্যে জঙ্গল সাফ করে। যেমন তেমন খানিক ফসল ফলায়, তাও
