পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fe শশাঙ্কদার যদি চাকরি করে দিই, দেড়শ’ দুশো টাকার চাকরি হয়, আপনিও কলকাতায় গিয়ে থাকবেন তো ?’ দিগম্বরীর মুখের ভাব পরিবর্তনের মানেটা হীরেনের এমন অদ্ভুত রকম স্পষ্ট भ6भ झूल ! “আমাকে কেন ?” “আমার স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেব-মেলামেশার একটা লোক পাবে।” কৈফিয়তটা বড়ই খাপছাড়া শোনাল। কলকাতা সহরে তার স্ত্রীর মেলামেশার লোকের কি এতই অভাব যে মেলামেশার জন্য ঝুমুরিয়া থেকে তাকে লোক নিয়ে যেতে হবে। হীরেনের কিন্তু খেয়াল ও ছিল না, সে নিজের চিন্তাতেই মসগুল । দিগম্বরী একবার হীরেনের মুখের দিকে চায়। আর মুখ নামিয়ে নেয়, গালে রঙ এসে আবার বিবৰ্ণ হয়ে যায়, যদিও রঙ তার তেমন ফস নয় বলে সেটা তেমন স্পষ্ট ३श = । “ত উনি কলকাতায় চাকরি করলে আমিও সেখানে থাকিব বৈকি। চাকরি দেবেন। ঠাকুরপো ?” হীরেন একটু হেসে বলল, “আপনার বুঝি সন্দেহ হচ্ছে চাকরি করে দিতে পারব কি না ?” ‘ওমা, আপনি চাকরি করে দিতে পারবেন। কিনা তাতে সন্দেহ!” দিগম্বরী ও এবার একটু হাসল। হীরেন বলল, ‘চাকরী খালি না থাকে আমার আপিসে চাকরি তৈরী করে দেব। আমাদের বাড়ীর কাছাকাছি আপনাদের জন্য একটা বাড়ী ঠিক করে রাখব’খন। আচ্ছা, আমাদের বাড়ীতেও তো থাকতে পারেন গিয়ে ? আমার স্ত্রী তাহলে সব সময় আপনার সঙ্গ পাবেন ? “আপনার স্ত্রীর কি কোন অসুখ ?” ‘মনের অসুখ ।” “ও, বুঝেছি।” তাদের উপকার করতে হীরেনের আগ্রহের কারণটা এতক্ষণে যেন দিগম্বরী ধরতে পেরেছে মনে হল। শশাঙ্ককে চাকরি দিয়ে তাকে হীরেন বিনা মাইনেতে আরেকটা চাকরী করিয়ে নেবে। কিন্তু হীরেনের স্ত্রীর কোন অসুখের কথা তো ক্লষ্ণেন্দু বলে নি ? একবার জিজ্ঞেস করতে হবে। I e &