পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা ছেলেকে চকোলেট দেওয়ার মত কিছু ভাবপ্রবণতার ব্যথা মোহনের মধ্যে তাকে श्ष्ट कशिा हिङ छ्छ्रेङ । ব্যথা বোধ হয় আজ সে চায় না। একটু উচ্ছাস চায়, বিস্ময় আর আনন্দের ! সেই সঙ্গে এতদিন অবহেলা করার জন্য কিছু কিছু অভিমান মিশাইয়া দিলে মোহন আরও খুশী হইবে। , কিন্তু কেন ? কেন সকলে তার কাছে এসব চায়, তার যা নাই, সে যা ভালবাসে না ? সমস্ত জগৎ যেন ধরিয়া রাখিয়াছে মেয়ে বলিয়াই সে রক্তমাংসের জীবন্ত কবিতা —পুরুষের মনের মত কবিতা । কিন্তু মোহন তাকে বড় খাতির করিত, ভাল ছেলে মোহন । বঁাচার আনন্দে ভাটার সময় শুধু এই মোহনকে তার ভাল লাগিতা। যখন মনে হইত জীবনে আর কিছু নাই, শুধু শ্ৰান্তি আর বিরক্তি,-কিছুক্ষণের জন্য যখন একেবারে লোপ পাওয়ার সাধ জাগিত, পোষা কুকুরটা ছাড়া কারো সঙ্গ সহ হইত না, মোহনের সঙ্গে তখন কথা বলিতে পারিত,-যে কোন বিষয়ে কথা হোক ৷৷ কুকুরটা কবে মরিয়া গিয়াছে। মোহন এখনও আছে, দুধ ভাত আর সুখ শান্তিতে পরিপুষ্ট দিব্যাকান্তি মোহন। ভাল ছেলে মোহন, ধৈৰ্য্যময় মোহন, সহনশীল নিয়মতান্ত্রিক একগুয়ে মোহন । ওকে কিছু ভাবালুতার খোরাক তার দেওয়া উচিত। সন্ধ্যা বসিল, গা এলাইয়া দিল—“মানুষ কেন রোগ হয় তুমি কি বুঝবে ? মনটা ভাল নেই মোহন ৷” মোহন প্রায় আধ মিনিট চুপ করিয়া রহিল। কোনদিন বোঝে নাই, আজ কি আর সে বুঝিবে এই নীরব সহানুভূতি কত অসহ সন্ধ্যার কাছে ? “তোমার সুখী হওয়া কঠিন, সন্ধ্যা ! যা জিদ, তোমার !” 4. ‘ইস ? তার মানে ?—ও, জিদ ! যাকগে, সুখদুঃখের কথায় কাজ নেই । বৌকে সঙ্গে আনলে না কেন, আলাপ করতাম ? আচ্ছা, আমিই তোমার বাড়ী গিয়ে আলাপ করে আসব একদিন ।” মোহন বিস্মিত হইয়া বলিল, “তুমি জানলে কি করে আমি বাড়ী নিয়েছি ?

  • ওর কাছে শুনলাম ।”

QSV)