পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शबिक @iव्नौ “খোকা ঘুমোচ্ছে দিদিমণি, তোমার খোক ?” “হঁ্যা । কেন ?” । “একবারটি কোলে নিতাম ?” “নিও। ঘুম ভাঙ্গলে নিও।” শিথিল শ্ৰান্ত বেলারানী হঠাৎ জীবন্ত হয়ে ছিটকে সরে গেল । ধোপ দুরন্ত কাপড়ে মালকেঁচা এটে, কোমরে গামছা বেঁধে, বাবরি চুল मiशब्लigङ शाश्रीश একটুকরো লাল সালুর ফেটি জড়িযে গগন প্ৰকাণ্ড হাত দিয়ে ডেকচির ভেতরটা নাডিতে থাকে, চেনা মানুষ কাছে এসে খাতির করে বলে, “কেমন আছ গগন ?” হাত খুনতি নাড়া চাড়া শুরু করেই গগনের মুখে সফল শিল্পীর অনুদার আত্মগরিমার ছাপটা স্পষ্টতর হয়ে উঠেছে। সহকারী পঞ্চ ও কানাই উঠছে। বসছে তারই হুকুমে। পঞ্চ বয়সে বড়, একটু রোগ এবং বাকা, কপালে তোলা গাঁজাখোরের চোখ, নেশা কিন্তু তার দেশি মদের । কানাই-এর বাড়ি কিশোর বয়সেই বন্ধ হয়ে গেছে, মুখের ক্ষেতে গোফদাড়ির ফসলে তার দারুণ আজন্মার লক্ষণ । গগনের প্রতিভাগত অসংযমের সংকট কিন্তু সেই সামলে চলে। মাঝে মাঝে গগনের ঝোক চাপে পুরানো খাদ্যে নতুনত্ব আনবে, এমন স্বাদ সৃষ্টি করবে: মানুষের জিভ, যার পরিচয় জানে না । হঠাৎ-জাগা উৎসাহে ও উল্লাসে একটানে হাতের বিড়িটা চড়াচড় শব্দে আধখানা পুড়িয়ে সে বলে, “খেয়ে যদি সবাই পাত না চাটেরে কানাই, বাপ আমায় জন্মো দেয় নি।” কানাই তখন সৃষ্টি-পূর্ব সমালোচকের মতো মাথা নেড়ে বলে, “উহুক । সেটি হবার নয়। কালিয়া যদি না কালিয়া হবে তো গাল দিয়ে ভূত ছাড়িয়ে দেবে।” গগন তা জানে, অভিজ্ঞতাও আছে । কেবল মনে থাকে না । খাবে অন্য লোকে, উপভোগ তাদের বলে পছন্দ অপছন্দের অধিকারটাও তাদেরই, তবু তাদের বৈচিত্ৰ্য পরিবেশনের সুযোগ না পেলে সব যেন কেমন একঘেয়ে মনে হয় গগনের। কখনো সে মুষড়ে যায়, কখনো রাগের জালায় থুক করে থুথু ফেলে দেয় মাছ রির পাত্ৰে । বলে, “স্বাদ হবে।” কোর্ণের ছোট উনুনে বেলারানীর মাসি পায়েস রাধতে এলেন, খোকার মুখে 8vor