পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ভেদে সমাজিক ধৰ্ম্মের বিভিন্নতা । eS শারীরিক ও মানসিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আহারের ও পোষাকের উন্নতিও হইয়াছিল । যে ব্যক্তি বানপ্ৰস্থধৰ্ম্ম অবলম্বন করিল সে প্ৰথমে খালি দুধ-ভাত খাইতে লাগিল। কারণ উহাদিগের ধৰ্ম্মপুস্তকে দুধ-ভাত আহারটি গুরুপাক বলিয়া কথিত, আর উহার বলিত, যত লঘু আহার করিবে এবং কম খাইবে ততই ইন্দ্ৰিয়দোষগুলি কম হইবে। আমি বলি এইটা অসঙ্গত কথা নয়, তবে ব্যস্ত জগতে এই প্ৰকার আহার ভাল নয়। গুরু আহারে কায়িক উন্নতি হয়, আর লঘু আহারে মানসিক উন্নতি হয়। দেহের ভিতর হজমের শক্তি যত কমিবে তত লঘু আহারের প্রয়োজন হইবে। অতএব হজমশক্তির গুণে লঘু ও গুরু আহার করা বিধেয়। অনেক বৈজ্ঞানিক লঘু আহারের পক্ষপাতী, কিন্তু আমি এক হিসাবে এই মতকে স্বাস্থ্যের চিকু বলি না। বাস্তবিক সাধারণ জগৎবাসী যত মাংসাশী হইবে তত স্থূল কৰ্ম্মসাধনের জন্য শারীরিক বল-বুদ্ধি পাইয়া কশ্মিষ্ঠ হইতে পরিবে। দুধ-ভাত অপেক্ষা লঘু আহার ফল, ফলের চেয়ে আরও লঘু আহার মূল, ক্রমে মূলের অপেক্ষা জল, জলের চেয়ে বাতাস, বাতাসের অপেক্ষা লঘু আহার অন্তরসুধা । ইহার উপায়। যদি আরও কিছু থাকে, তাহা আমার জানিবার অভাব। এক একটিকে তিন তিন বৎসর ধরিয়া সাধন করিতে হয় এবং ক্রমান্বয়ে পািনর বৎসরু করিলে সিদ্ধ হয়। সাধনা করিবার পূর্বে চান্দ্রায়নত্ৰত করিতে হয়। চান্দ্রায়নত্রতটি দুই প্রকারঘববৎ ও পিপীলিকাবৎ, অথবা কৃষ্ণপক্ষ ও শুক্লপক্ষ। গোমুত্রে চাউলকে সিদ্ধ করিয়া সিদ্ধ চাউলটিকে পায়রার ডিমের মত চেলা করিতে হয় এবং প্রত্যেক দিন এক একটি করিয়া চেলাটিকে বাড়াইয়া পনরািটতে যাইতে হয়। কিম্বা পনীয়টিতে নুরু করিয়া প্ৰত্যেক দিন এক একটি কমিীয়া ঢেলাটিকে কমাইয়া একটিতে