পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܢܐܐܽ 壹翰檬 -鷺響情 t 歌 الي s করিতেছেন, এবং মুসলমানেরাও ধৰ্ম্ম প্রচারে ব্যয়কুষ্টিত নন, তথাপি যদি #रुि তালিকা লওয়া হয় যে ইংরাজ বাহাদুয়ের বঙ্গদেশে আগমনের পূর্বে কতগুলি প্রতিষ্টিত পুতুল ছিল, আর পরিবতেহারে প্রতি বৎসর কতগুলি পুতুল গড়া হইত ও বিসর্জন দেওয়া হইত, আর এখনই বা কতগুলি প্ৰতিষ্ঠিত পুতুল আছে, ও প্ৰতি বৎসর পরিবতেহারে গড়া হয় ও বিসর্জন দেওয়া হয়, তাহা হইলে বঙ্গের সভ্যোরা জানিতে পারে যে একে শত বৃদ্ধি পাইয়াছে কি না ! যত পাঁচ মিশিলি বিদ্যা বাড়িবে, তত ভ্ৰষ্টাচাব বেশী হইবে ; যত অসত্য সত্য রূপে প্ৰকাশ পাইবে, তাত উৰ্দ্ধৰ্ম্ম জন সমাজে বেশী প্রচার হইবে। লোক যত ক্ষীণ হয়, তত চতুরতা বৃদ্ধি পায়। এক হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়া বহু হইলে ক্ষীণ হয়, আর বহু হইতে একত্রিত হইয়া এক হইলে সবল হয় । ভিখারী, মসীজীবী, আইনবাজ, ধনী, ব্যবসাদার ইত্যাদি সকলে বিদ্যা শিখিতেছে, এবং উহারা সকলেই সভ্য বলিয়া বঙ্গদেশে পরিগণিত হইতেছে—আমাদিগের বাপ দাদার সংস্কৃত ভাষা হয়, ইহাও উহারা সৰ্কলে বলিতেছে, ফলত সকলেই আৰ্য্য ঋষিকে পূর্ব পুরুষ বলিতেছে। বল দেখি – পুতুল হাত তুলে ভাত খায় কি ? অমনি সকলে বলিবে —হঁ। যেমনি বলিল, অমনি সম্পাদকেরা উহাদিগের নজির ধরিয়া কাগজে ছাপাইয়া দিল, যেমনি নজিরটি কাগজে প্ৰকাশ হইল, অমনি সঙ্গে সঙ্গে সম্পাদকের নাম ছুটিল, যেমনি নামটি ছুটিল, অমনি সম্পাদক হুড় হুড় করিয়া পয়সা উপাৰ্জন করিল। কিন্তু যে বলিল ‘পুতুল হাত তুলে ভাত খেতে পারে না,” অমনি সব বাঙ্গালীরা তাকে ঘৃণা করিয়া তার মুখে চুন কালী দিল, ফলত সে ব্যক্তি মুখ পোড়া বানর বনিল ।