পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। ২৭৩ পূৰ্ব্বে আমরা যে সমস্ত বিবরণ প্রদান করিয়াছি, তাহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, ইংরাজের ভারতবর্ষে ও বাঙ্গলায় বাণিজ্যবিষয়ে অন্তান্ত ইউরোপীয় জাতি অপেক্ষা অনেক প্রকার সুবিধা লাভ করিয়াছিলেন । প্রথমতঃ ইংলণ্ডের অধীশ্বরী ও অধিপতিগণ ইংরাজ বণিকৃগণের সুবিধার জন্ত যেরূপ যত্ন লইতেন, অন্যান্ত ইউরোপীয়গণের অধিপতিদিগকে সেরূপ ভাবে বত্ব লইতে দেখা যায় নাই। বিশেষতঃ ফ্রান্সাধিপের আজ্ঞায় অবশেষে ফরাসী কোম্পানীর একচেটিয়া বাণিজ্যের ক্ষমতা হ্রাস হইয়াছিল। কিন্তু ইংলণ্ডের রাজ্ঞী ও রাজা মোগল বাদসাহের দরবারে দূত প্রেরণ করিয়া যাহাতে ভারতবর্ষে ইংরাজবণিকগণের বাণিজ্যের সুবিধা হয়, তজ্জন্ত নানা প্রকার চেষ্টা করিয়াছিলেন। সেই চেষ্টার ফলে ইংরাজের মোগল দরবার হইতে ভারতে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার আদেশ লাভ করেন । বঙ্গদেশে বাণিজ্যের জন্ত র্তাহারা জাহাঙ্গীর, সাজাহান ও অবশেষে সী মুজার নিকট হইতেও সেইরূপ আদেশ প্রাপ্ত হন । যদিও নবাব মীরজুমার সময় তাহার বার্ষিক ৩ হাজার টাকা পেস্কশ মাত্র প্রদান করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন, তথাপি যে স্থানে অন্তান্ত ইউরোপীয়গণ শতকরা সাড়ে তিন টাকা গুল্ক প্রদান করিতেন, সেই স্থলে তাহাদিগকে বার্ষিক ৩ হাজার টাকা মাত্র প্রদান করায় তাহদের বাণিজ্যের কিছুমাত্র ক্ষতি হয় নাই । কোন কোন সময়ে তাহাদের নিকট হইতে গুল্ক গ্রহণের চেষ্ট হইলেও তাহারা যাহাতে বিনা গুল্কে বাণিজ্য করার আদেশ স্থির রাখিতে পারেন, ৰরাবরই তাহারই চেষ্টা করিয়াছিলেন, এবং পরিণামে ঠাইতে কৃতকাৰ্য্য হইয়া বাণিজ্যবিষয়ে অন্যান্ত ইউরোপীয়