পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । \రి) ( প্রবল হইয়া উঠিলে এবং মগধ প্রভৃতি দেশ বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের কেন্দ্রস্থূল হইলে, মুর্শিদাবাদ প্রদেশেও বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম বিস্তৃত হয়। তাহার পর খৃষ্টজন্মের ৪৬৯ বৎসর পূৰ্ব্বে শঙ্করাচাৰ্য আবিভূত হইয়া হিন্দু ধৰ্ম্মের প্রাধান্ত স্থাপন করিলে, এই সমস্ত স্থানেও ধীরে ধীরে হিন্দু ধৰ্ম্ম পুনঃ প্রচারিত হয় । খৃষ্টজন্মের পূর্বে ও পরে যৎকালে গুপ্ত সম্রাটগণ কর্ণসুবর্ণ রাজ্যের অধীশ্বর ছিলেন, সেই সময়ে মুর্শিদাবাদ প্রদেশে হিন্দু ধৰ্ম্মের, বিশেষতঃ শক্তি ও শিব উপাসনার, প্রাধান্ত দেখিতে পাওয়া যায়। কিরীটেশ্বরী প্রভৃতি স্থান তাহার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। কিন্তু সে সময়ে একেবারে বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম এতৎপ্রদেশ হইতে বিলুপ্ত হয় নাই এবং কোন কোন সময়ে তাহা প্রাধান্ত লাভও করিয়াছিল। হিউয়েন সিয়াঙ্গের কর্ণসুবর্ণ রাজ্যে আগমনের সময় হইতে আমরা মুর্শিদাবাদ প্রদেশের সাধারণ অবস্থার বিষয় কিছু স্পষ্টরূপে জানিতে পারি। তৎকালে এতৎপ্রদেশের লোকেরা ধনশালী ও স্বচ্ছন্দচিত্ত ছিল। ভূমিতে নানা প্রকার শস্ত ও ফুল ফল উৎপন্ন হইত। জলবায়ু স্বাস্থ্যকর ও লোকের আচার ব্যবহারও মনোজ্ঞ ছিল, এবং বিদ্যার অনুশীলন ও সমাদর হইত। অধিবাসিগণের মধ্যে হিন্দু ও ইয়া থাকে যে, মৰ্ত্তা ও আনন্দ শেষ বয়সে কাসেমের নিৰ্ম্মিত বালিঘাটার মসঙ্গীদে কিছুকাল বাস করিয়াছিলেন। কিন্তু ১৭৪০ খৃঃ অব্দে গিরির এাস্তরে নবাব সরফরাজ খ্ৰীৱ সহিত আলিবর্দীর যুদ্ধের সময় মর্ভুজ সমাহিত ইয়াছিলেন বলিয়া জানা যায়। রিয়াজুস সালাতনু প্রভৃতি গ্রন্থে ও গিরির যুদ্ধের গ্রাম্য কবিতা হইতে বোধ হয় যে, গিরিয়া যুদ্ধের পূর্বেই মৰ্ত্ত জার দইত্যর ঘটিয়াছিল। তাহ হইলে ১৭৪২ খৃঃ অব্দে কাসেমের নিৰ্ম্মিত দীদ উহার অবস্থান করা প্রতিপন্ন হয় না। মৰ্ত্তজ ছাপৰাচীতেই কিতেন বলিয়াই জানা যায়।