পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। ৩২৩ চলিয়াছিল। অন্ত দিকে রঘুনন্দনের স্মৃতিমত প্রচারিত হওয়ায়, হিন্দুগণের আচার ব্যবহার, পূজা উপাসনাও বিশুদ্ধ ভাব ধারণ করিতে আরম্ভ করে। রঘুনন্দনের পূৰ্ব্বে যে এতদ্দেশে স্মৃতির মত প্রচলিত ছিল না, এমন নহে; কিন্তু রঘুনন্দন তাহ অধিকতর স্পষ্টীকৃত করিয়া তুলেন। তৎকালে সামাজিক আচার ব্যবহার কিরূপ ছিল, প্রাচীন সাহিত্য হইতে আমরা তাহার কিছু কিছু উল্লেখ করিতেছি । বৰ্ত্তমান সময়ের দ্যার তৎকালেও নানাপ্রকার দেবদেবীপূজার উৎসব হইত, তন্মধ্যে শরৎকালের দুর্গোৎসবহ প্রধান। অন্নপ্রাশন, চুড়াকরণ, ব্রাহ্মণগণের উপনয়ন, বিবাহ প্রভৃতি মাঙ্গলিক ব্যাপার বর্তমান সময়ের হায়ই অনুষ্ঠিত হইত । শ্ৰাদ্ধাদি কাৰ্য্যও এইরূপই সুসম্পন্ন হইতে দেখা যাইত । ক্রিয়। উপলক্ষে কুটুম্ব কুটুম্বিনীগণ আগমন করিতেন। পুরুষেরা উপযুক্ত দোলা ও স্ত্রীলোকের বস্ত্রাচ্ছাদিত দোলা যানস্বরূপ ব্যবহার করিতেন। ক্রিয়াসভায় মাল্যচন্দনদান উপলক্ষে কুলীনদিগের মধ্যে মহা বাগবিতও হইত। দধি, চিড়া ও অন্ন ব্যঞ্জনের ব্যবহারই দেখা যাইত। বৈষ্ণবের ভোজ উপলক্ষে নানাপ্রকার ব্যঞ্জন ও মিষ্টদ্রব্য ব্যবহার করিতেন । দেবতাকে প্রথমে নিবেদন করিয়া সেই সমস্ত প্রসাদরূপে প্রদান করা হইত। তৎকালে হিন্দুদিগের মধ্যে ব্রাহ্মণ ও শূদ্র এই দুইমাত্র বর্ণের উল্লেখ দেখা যায়। রঘুনন্দন তাহার শুদ্ধিতত্ত্বে ব্রাহ্মণের পক্ষে দশ দিন ও অন্যান্ত সকল জাতিকে শূদ্র স্থির করিয়া তাহাদের পক্ষে ত্রিশ দিন অশোচের ব্যবস্থা করিয়াছেন। * শূদ্রদিগের মধ্যে কায়স্থ,

  • বঙ্গদেশের প্রাচীন হিন্দু অধিবাসিগণের মধ্যে ব্রাহ্মণের ও কোন কোন ইনে বৈদ্যের উপনয়ন ধারণ করিয়৷ থাকেন। কিন্তু রঘুনন্দনের সময় বৈদ্যগণ