পাতা:মৃণালিনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
মৃণালিনী।

 মা। “কতক কতক জানিয়াছি।”

 প। “তবে এ প্রস্তাব করিতেছেন কেন?”

 মা। “প্রস্তাবের তাৎপর্য্য এই যে এক বীর পুরুষ এক্ষণে এখানে সমাগত হইয়াছেন। মগধের যুবরাজ হেমচন্দ্রের বীর্য্যের খ্যাতি শুনিয়া থাকিবেন?”

 প। “বিশেষ শুনিয়াছি। ইহাও শ্রুত আছি যে তিনি মহাশয়ের শিষ্য। আপনি বলিতে পারিবেন যে ঈদৃশ বীর পুরুষের বাহু-রক্ষিত মগধ রাজ্য পরহস্তগত হইল কি প্রকারে?”

 মাধ। “যবন বিপ্লবের কালে যুবরাজ প্রবাসে ছিলেন। এই মাত্র কারণ।”

 প। “তিনি কি এক্ষণে নবদ্বীপে আগমন করিয়াছেন?”

 মাধ। “আসিয়াছেন। রাজ্যপহারক যবন এই দেশে আগমন করিতেছে শুনিয়া এই দেশে তাহাদিগের সহিত সংগ্রাম করিয়া দস্যুর দণ্ডবিধান করিবেন। বঙ্গরাজ তাঁহার সঙ্গে সন্ধিস্থাপন করিয়া উভয়ের শত্রু বিনাশের চেষ্টা করিলে উভয়ের মঙ্গল।”

 প। “রাজবল্লভের অদ্যই তাঁহার পরিচর্যায় নিযুক্ত হইবে। তাঁহার নিবাসার্থে যথাযােগ্য বাসগৃহই নির্দ্দিষ্ট হইবে। সন্ধিনিবন্ধনের মন্ত্রণা যথাযােগ্য সময়ে স্থির হইবে।”

 পরে রাজাজ্ঞায় সভা ভঙ্গ হইল।