বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মেঘনাদ সমালোচন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেঘনাদ সমালোচন।
১৯

প্রণমিয়া কাম তবে উমার চরণে,
কহিলা; “অভয় দান কর যারে তুমি,
অভয়ে, কি ভয় তার এ তিন ভুবনে
কিন্তু নিবেদন করি ও কমল পদে,
কেমনে মন্দির হতে, নগেন্দ্র মন্দিনি,
বাহিরিবা, কহ দাসে, এ মোহিনী বেশে?
মুহূর্ত্তে মাতিবে, মাতঃ জগত, হেরিলে
ওরূপ মাধুরী;————————————

 যাঁহাকে মাতঃ বলিয়া সম্বোধন করিতে হয়, তাঁহার সমক্ষে তাঁহার রূপের ঐরূপ বর্ণনা করা অনুচিত, কিন্তু এ স্থলে ঐ বর্ণনাটী কামদেবের মুখ হইতে বিনির্গত হইতেছে বলিয়া তত দুষ্য নহে।

 সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায়, বঙ্গীয় কবিগণ করুণ ও আদিরস সংক্রান্ত বর্ণনা যেরূপ মনোহর করিতে পারেন, তাঁহাদের বীর, রৌদ্র ও অদ্ভূত রসের বর্ণনা সেরূপ মনোহারিণী হয় না। ইতি পূর্ব্বে যে সকল পুস্তক প্রচারিত হইয়াছে, তন্মধ্যে কৃত্তিবাসের রামায়ণ ও কাশীদাসের মহাভারত ব্যতিরেকে অন্য কোন গ্রন্থে বীর ও রৌদ্ররসের বর্ণনা বিরল। এত বিরল, যে নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ফলতঃ বঙ্গীয় কবির নায়ক নায়িকার প্রথম দর্শন, পূর্ব্বানুরাগ ও বিরহ প্রকৃতির বর্ণনা