নয়নগোচর হয়, অনেকে চিরাভ্যস্ত পদ্ধতির রেখা মাত্র অতিক্রম করিতে চাহেন না এবং কাহাকে অতিক্রম করিতে দেখিলেও অসন্তোষ প্রকাশ করিয়া থাকেন, কিন্তু তাঁহাদের “কেবল পরিবর্ত্তনই নিত্য” এই চিরপ্রসিদ্ধ বাক্যটী নিরন্তর চিত্তপটে জাগরূক রাখা কর্ত্তব্য এবং সেই পরিবর্ত্ত দ্বারা জগতের কতদূর উপকার হইতে পারে, তাহাও একবার পক্ষপাতশূন্যচিত্তে পর্যালোচনা করা আবশ্যক।
মেঘনাদবধ কাব্যে ব্যাকরণদুষ্ট কতকগুলি পদ প্রযুক্ত হইয়াছে সত্য এবং ঐ পদগুলি অনভ্যাস বশতঃ হউক, অথবা অন্য কোন কারণে হউক, আপাততঃ আমাদের শ্রুতি কঠোর বলিয়াও বোধ হইতেছে। এক্ষণে বিবেচনা করা আবশ্যক, ঐ নূতন রকমের পদগুলি কোন সময়ে আমাদের শ্রুতি মধুর হইতে পারে কি না এবং ভবিষ্যতে বাঙ্গালা ভাষার উন্নতি সাধন পক্ষে অনুকূল হইবে কি না, এই দুইটা বিষয় বিবেচনা করিয়া দেখিলে বোধ হয়, কালক্রমে ঐ নূতন পদগুলির শ্রুতি কটুত্ব দোষ পরিহৃত হইয়া যাইবে এবং তদ্দ্বারা ভাষারও যথেষ্ট উন্নতি হইবে। এক্ষণে বাঙ্গালা ভাষা বাল্যাবস্থা অতিক্রম করিয়া যৌবনের প্রারন্তে উপনীত হইয়াছে। অতএব এখনও উহার সর্ব্বাঙ্গসম্পন্ন ব্যাকরণ হইবার
৩