পাতা:মেঘনাদ সমালোচন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মেঘনাদ সমালোচন৷
৩৫

প্রেক্ষাবাচক শব্দের প্রয়োগ থাকিলে বাচ্যা, আর না থাকিলে প্রতীয়মানা উৎপ্রেক্ষা হয়।

কুশাসনে ইন্দ্রজিত পূজে ইষ্টদেবে
নিভৃতে; কৌষিক বস্ত্র, কৌষিক উত্তরী,
চন্দনের ফোটা ভালে, ফুল মালা গলে
পুড়ে ধূপদানে ধূপ; জ্বলিছে চৌদিকে
পূত ঘৃত রসে দীপ; পুষ্প রাশি রাশি,
গণ্ডারের শৃঙ্গে গড়া কোষা কোষী, ভরা
হে জাহ্নবি, তব জলে, কলুষ নাশিনী
তুমি! পাশে হেম ঘণ্টা, উপহার নানা,
হেমপাত্ত্রে; ৰুদ্ধদ্বার;—বসেছে একাকী
রথীন্দ্র, নিমগ্ন তপে চন্দ্রচূড় যেন———

 এই উদাহরণে ইন্দ্রজিতের বর্ণনা করা কাব্যকারের প্রধান উদ্দেশ্য। চন্দ্রচূড় বর্ণনীয় নহেন, অথচ ইন্দ্রজিতকে অধঃকৃত করিয়া তাঁহার সহিত চন্দ্রচূড়ের অভেদ কল্পনা করা হইয়াছে এবং যেন শব্দ দ্বারা ঐ অভেদ কল্পনা সুব্যক্ত হইতেছে।

—————কুসুমেষু বসি কুতুহলে,
হানিলা, কুসুমধনুঃ টঙ্কারি কৌতুকে
শর-জাল,———প্রেমামোদে মাতিলা ত্রিশূলী।
লজ্জাবেশে রাহু আসি গ্রাসিল চাঁদেরে,
হাসি ভস্মে লুকাইলা দেব বিভাবসু!