বোধ হইতেছে, যে বীররসাশ্রিত কাব্যে সন্ধ্যা ও প্রভাত প্রভৃতির বিস্তৃত বর্ণন অনুচিত। করিলে প্রায় তাহার সৌন্দর্য্য থাকে না। এই নিমিত্ত শিশুপাল বধ কাব্যের প্রণেতা মাঘ নামক কবির উক্ত প্রকার বিষয়ের বহু বিস্তৃত বর্ণনা দূষ্য বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে ও এই নিমিত্ত ইউরোপের প্রাচীনকালের সমালোচকেরা বীর রসাশ্রিত কাব্যে ঐ সকল বিষয়ের দীর্ঘ বর্ণনা দোষাস্পদ বলিয়া নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু মেঘনাদকার উক্ত প্রকার বিষয়ের বর্ণন স্থলে সংক্ষিপ্ত প্রণালী অবলম্বন করিয়া সে দোষটীর পরিহার করিয়াছেন।
যৎকালে ইন্দ্রজিৎ বৈরি ইন্দ্র, কৈলাসধামে ভগবতীর স্তব করিতেছিলেন, ঐ সময়ে রামচন্দ্র লঙ্কাধামে ঘটস্থাপনপূর্ব্বক ভগবতীর পূজা আরম্ভ করেন। সহসা কৈলাসপুরী গন্ধামোদে পরিপূরিত ও শংখ ঘণ্টার শব্দে প্রতিনিত হওয়ায় ভগবতী বিজয়াকে সম্বোধন করিয়া কহিতেছেন।
“বিজয়া সখীরে
সম্ভাষিয়া মধুস্বরে, ভবেশ ভবানী
সুধিলা, “লো বিধুমুখি, কহ শীঘ্র করি,
কে কোথা, কি হেতু মোরে পূজিছে অকালে?
মন্ত্র পড়ি, খড়ি, পাতি, গণিয়া গণনে,