পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st মেঘ-মল্লায় বিগ্রহের মন্দিরে আশ্ৰয় লইলেন। তখন রাত্রি অনেক হইয়া গিয়াছে ঠাকুরের ভোগের সময় উপস্থিত। কথায় কথায় পুরী মন্দিরের পূজারীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, গোপীনাথের ভোগের কি ব্যবস্থা আছে ? পুজারী বলিল, গোপীনাথের ভোগের জন্য অমৃতকেলি নামক ক্ষীর দ্বাদশ মৃৎপাত্র ভরিয়া সন্ধ্যার পর দেওয়া হয়, অমৃত সমান তাহার আস্বাদ-গোপীনাথের ক্ষীয় বলিয়া তাহা প্ৰসিদ্ধ-অন্য কোথাও তাহা পাওয়া যায় না। কথা বলিতে বলিতে ভোগের শঙ্খ ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল। পুরী মনে মনে ভাবিলেন, BDBuDBDuBD DD uDBD BKBD KLDD DDD DSS DBuDBD DB DBB আম্বাদ জানিয়া ঐ রূপ ভোগ বৃন্দাবনের মঠে শ্ৰীগোপাল বিগ্রহের জন্য ব্যবস্থা করি। ভাবিতেই পুরীর মনে লজ্জা হইল-শ্ৰীবিষ্ণু স্মরণ করিয়া তিনি তথা DBBDBD DBDB DDDS LB DBDu DBB BBDBDBD অযাচিত-বৃত্তি পুরী বিরক্ত-উদাস অযাচিত পাইলে খান নাহে উপবাস । রাত্রে গোপীনাথের পূজাৰী স্বপ্ন পান-গোপীনাথ স্বয়ং তাহাকে বলিতেছেন, দেখ, এই গ্রামের হাটে এক সমৃTাসী বসিয়া আছে, তার নাম মাধবপুরী ; তাহার জন্য একখণ্ড ভোগের ক্ষীর ধাড়ার আঁচলে ঢাকা বাখিম। দিয়াছি, আমার মায়ায় তোমরা তাহা টের পা ও নাই। সে সারাদিন কিছু খায় নাই, শীঘ্ৰ মন্দিরের দ্বার খুলিয়া লইদ্যা গিয়া তাহাকে দিয়! এসে।-- পূজারী তখনই আসিয়া দ্বার খুলিয়া দেখিল, সত্যই বিগ্রহের ধন্ডার অঞ্চলে এক পাত্র ক্ষীর চাপা আছে বটে। কে এমন মহা ভাগ্যবান পুরুষ, যাহার জন্য স্বয়ং ঠাকুর ক্ষীর চুরি করিয়াছেন ?-ক্ষীর পাত্র লইয়া পূজারী গ্রামের হাটে আসিয়া তাহাকে খোজ করিয়া বাহির করিলেন। মাধবপুরী এক অন্ধকারে হাটচালাতে বসিয়া বসিয়া নাম ও পা করিতেছিলেন। পূজারী তাহার হাতে ক্ষীর পাত্ৰ তুলিয়া দিয়া পায়ের ধূলা লইয়া বলিল, ত্রিভুবনে তোমার সমান ভাগ্যবান পুরুষ নাই ; পায়ের ধূলা দেও, উদ্ধার হইয়া যাই। তোমার জন্য স্বয়ং গোপীনাথ ক্ষীর চুরি করিয়াছেন।