পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○○ মেদিনীপুরের ইতিহাস। শরণাপন্ন হইবার নিমিত্ত দিল্লী অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিলেন। প্রতাপ তাহাকে ধৃত করিতে পারেন নাই । ভীমসেন মহাপাত্র নামক ঈশ। থার একজন দেওয়ান ছিলেন ; তাহারই সাহায্যে রাঘব রায় পলাইয়া যাইতে সমর্থ হইয়াছেন, অনুমান করিয়া প্রতাপ তাহাকে কারারুদ্ধ করিবার আদেশ দেন। দেওয়ান মহাপাত্র মহাশয় প্রতাপের হস্তে লাস্থিত হইবার ভয়ে স্বীয় গ্রামস্থ বাহিীমুঠার ‘ভীমসাগর নামক পুষ্করিণীতে জলমগ্ন হইয়া প্রাণবিসর্জন করেন। ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে ঈশ৷ খ। মানবলীলা সংবরণ করিয়াছিলেন। হিজলী বিজিত হইলে পর প্রতাপ স্বরাজ্যে প্রত্যাগত হন। ঈশা খাকে লইয়৷ ঐতিহাসিকগণের মধ্যে কিঞ্চিৎ বিসংযদি আছে। প্রতাপাদিত্যের সময় তিন জন ঈশা খা ক্ষমতাশালী ছিলেন । - পূৰ্ব্ব-বঙ্গের খিজিরপুরের ঈশা খা, হিজলীর ঈশ৷ ੈ। ধা মসৃনদ-ই-আলী ও উড়িষ্কার ঈশা খাঁ লোহানী। খিজিরপুরের ঈশা খাঁর সহিত বসন্ত রায়ের বন্ধুত্বের কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ নাই । ঐতিহাসিক নিখিলনাথ রায় মহাশয়ের মতে উড়িষ্যার ঈশা খার সহিত বসন্ত রায়ের বন্ধুত্ব ছিল এবং রাঘব রায় তাহার আশ্রয়-গ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি হিজলীর ঈশা খার অস্তিত্বই স্বীকার করেন না । তিনি বলেন, হাণ্টার সাহেবের গ্রন্তে ( Statistical Account of Bengal, vol. IIl, Midnapore ) হিজলীর মসনদ-ই-আলী-বংশের যে বিবরণ আছে, উহাতে ঈশা খার নাম বা প্রতাপাদিত্য কর্তৃক তাহাদের কাহারও পরাভবের কোন কথাই নাই। আমরা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি, হান্টার সাহেব ক্রোমেলীন সাহেবের পূৰ্ব্বোক্ত চিঠি হইতে হিজলীর বিবরণ গ্রহণ করিয়ছেন এবং তিনিও আবার হিজলীর মসৃজীদের সেবাইৎদিগের নিকট