পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•o tro মেদিনীপুরের ইতিহাস । রাজাকে “মাড়িমুলতাল” বা পথের রাজা উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন । তদবধি উক্ত বংশীয়গণ সেই উপাধিতে আখ্যাত হইতেন। সম্রাট সাজাহানের পঞ্চাঙ্গুলীযুক্ত পারস্তভাষায় লিখিত উপাধিনাম নারায়ণগড় রাজভবলে পুরুষানুক্রমে রক্ষিত ছিল। যাহারা পত্রিকাথানি দেখিয়াছেন, তাহারা বলেন, উছাতে রক্তচন্দনে সম্রাটের পঞ্চাঙ্গুলীচিহ্ন সুস্পষ্ট পরিদৃষ্ট হইয়াছিল। কিন্তু এক্ষণে নারায়ণগড় রাজবাটীতে উক্ত উপাধিনামাটি নাই। সম্ভবতঃ নারায়ণগড়ের প্রাচীন রাজবংশের অবস্থাস্তর হইলে বর্তমান জমিদারগণ যে সময় রাজসরকার হইতে কাগজপত্র গ্রহণ করেন, সেই সময় অন্যান্ত কাগজের সঙ্গে সম্রাটু-প্রদত্ত পত্ৰখানিও রাজসংসার হইতে বাহির হইয়া যায়। যে বংশীয়গণ সম্রাটপ্রদত্ত সন্মানের নিকট অবনত ছিলেন, তাহাদের আর রাজত্ব নাই, বংশও লোপ হইরা গিয়াছে, সুতরাং অপরের নিকট উহ একখানি সামান্ত কাগজ ভিন্ন আর কি হইবে ? পূৰ্ব্বোক্ত উপাধিনামাটি ব্যতীত সম্রাটু-প্রদত্ত পারস্তভাষায় লিখিত একখানি ফাৰ্ম্মানও উক্ত বংশের নিকট ছিল । ঐ বংশের শেষ রাজা পৃথ্বীবল্লভ পাল মাড়ি সুলতান এক সময়ে বঙ্গের তৎকালীন লেপ্টেনাণ্ট গভর্ণরের নিকট যে দরখাস্ত করিয়াছিলেন, তাহাৰ সহিত উক্ত ফাৰ্ম্মানখানির একখানি ইংরাজী অনুবাদও দেওয়া হইয়াছিল। সম্রাটু সায়াহান যে ঐ রাজবংশকে বিশেষ অনুগ্রহ করিতেন, তাহা উক্ত ফাৰ্ম্মানখানির নিম্নোদ্ধত বঙ্গানুবাদ হইতে উপলব্ধি হইবে – - “রাজকীয় কৰ্ম্মচারিগণ, ৮ায়গীরদার, চৌধুরী, কাননগোগণ । এতদ্বারা অবগত করা যাইতেছে, যেহেতু, নারায়ণগড় রাজাকে পূৰ্ব্বশাসনকর্তৃগণ কর্তৃক জমিদারী, নানকর প্রভৃতি প্রদত্ত হইয়াছিল এবং নারায়ণগভূ-রাজবংশ–ত্ৰৈলোক্যনাথ পাল ।