পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి8ు মেদিনীপুরের ইতিহাস। হইল এই গড়ের অত্যন্তরে পুষ্করিণী খনন কালে একটি কৃপ বাহির হয়। তন্মধ্য হইতে সন্ধান্ত মুসলমানদিগের ব্যবহার্য্য কয়েকটা মূল্যবান তৈজস পত্র পাওয়া গিয়াছিল । ডেবরা থানার অন্তর্গত সাহাপুর পরগণার মাড়তলা গ্রামে সাহাজীউ নামক এক মুসলমান সাধুর আস্তান আছে। জনশ্রুতি, সাহাজীউ আলি সাহর গুরু ছিলেন এবং তাহারই নামানুসারে সাহাপুর পরগণার নামকরণ হইয়াছিল। রাজা তোডরমল্লের রাজস্ব-বিভাগে সাহাপুর মহাল সরকার মান্দারণের অন্তভূত ছিল ; তৎপরে মুজার বন্দোবস্তের সময় উহা সরকার গোয়ালপাড়ার অন্তভূত হয়। তাহা হইলে অনুমান করা যাহতে পারে, সাহাজীউ ও আলী সাহ চারিশত বৎসরের পূৰ্ব্বে বৰ্ত্তমান ছিলেন। সাহাজীউর অলৌকিক ক্ষমতা সম্বন্ধেও নানাপ্রকার কাহিনী অদ্যাপি এই প্রদেশে প্রচলিত আছে । কেশপুর থানার অন্তর্গত ব্রাহ্মণভূম পরগণার অন্তঃপাতি তাড়িয়া গ্রামের পশ্চিমে একটি প্রস্তর-নৰ্ম্মিত গড়ের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়। কথিত আছে, ঐস্থানে মাঝি জাতীয় রাজার। রাজত্ব করিতেন । মাঝি নিম্নশ্রেণীর হিন্দু। ঐ গড়টাও ‘বাহির গড়’ ও ‘ভিতর গড়’ নামে দুই বিভাগে বিভক্ত ছিল। বাহির গড়ের চতুঃসীমার মধ্যস্থিত ভূমির পরিমাণ প্রায় দুই সহস্ৰ বিঘা এবং ভিতর গড়ের মধ্যস্থিত ভূমির পরিমাণ প্রায় দুই শত বিঘা হইবে। ভিতর গড়েই রাজাদের বাসভবন ছিল । র্তাহীদের খোদিত তিন চারিটি বড় বড় পুষ্করিণীও আছে ; তন্মধ্যে রেবতা বা রাউতা নামক দীর্ঘিকাতে শেষ মাঝি রাজা জলমগ্ন হইয়া প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন, এইরূপ কিম্বদন্তী । সাহাঞ্জীউ পীর। তাড়িয়া গ্রামের মাঝি রাজার গড ।