পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిఫెt মেদিনীপুরের ইতিহাস। দৌলতপুর গ্রামের পূৰ্ব্বোক্ত শিব মন্দিরটর অনতিদূরে একটি বটবৃক্ষমূলে বৌদ্ধযুগের একটিপুরুষ মূৰ্ত্তি ও তান্ত্রিক যুগের একটি দেবীমূৰ্ত্তি আছে। মূৰ্ত্তি হুইটই প্রস্তুর নিৰ্ম্মিত ও ভগ্ন। বটবৃক্ষটর কাণ্ড ও শাখা প্রশাখা বৌদ্ধযুগের মূৰ্ত্তিটাকে এরূপ ভাবে বিরিয়া ফেলিয়াছে যে, আর তিন চার বৎসর পরেই উহা লোকলোচনের অন্তরালে চলিয়। যাইযে । তখন উহার চিহ্নমাত্র লোকে দেখিতে পাইবে না । এক্ষণে নিম্নভাগের সামান্ত অংশই দেখিতে পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে বৃক্ষের কিরদংশ ছেদন করিয়া আমরা প্রস্তর-মূৰ্ত্তিটা বাহির করিবার চেষ্টা করিয়াছিলাম। কিন্তু বৃক্ষ ছেদনের ফলে এবং মূৰ্ত্তিটা বাহির করিয়া আনিলে গ্রামবাসিগণের বিপদ উপস্থিত হইতে পারে, এই আশঙ্কা করিয়া কুসংস্কারাচ্ছন্ন গ্রামবাসিগণ মূর্তুিগাত্রে সিন্দুর লেপন করতঃ পূজা করিতে আরম্ভ করিয়া দেওয়ায় কাৰ্য্যটা আর অধিক দুর অগ্রসর হইতে পারে নাই। এক বৃদ্ধের মুখে শুনিয়াছিলাম, রসুলপুর নদীর বাধ প্রস্তুত করিবার সময় মৃত্তিক খনন করিতে করিতে ঐ মূৰ্ত্তিটা পাওয়া গিয়াছিল । দৌলতপুর ও দরিয়াপুর গ্রামে পুষ্করিণ্যাদি খনন কালে পাচ সাত হস্ত মাটীর নীচে কূপ বাহির হইতে দেখা शांग्न । দৌলতপুর গ্রামের সাত আট মাইল পশ্চিমে কাথি সৃহর । কঁথিতে নন্দকুমার পুষ্করিণী নামে একটি পুষ্করিণী আছে। ধ্যাতনামা মহারাজা নন্দকুমার কর্তৃক এই পুষ্করিণী খোদিত হইয়াছিল। নন্দকুমার তাহার কৰ্ম্মজীবনের প্রথমাবস্থায় কিছুদিন হিজলী প্রদেশের আমীন প্রদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তৎকালে এই আমীনি পদ বিশেষ সম্মানজনক ছিল । নবাব মুর্শিদ দৌলতপুরের প্রস্তর মূৰ্ত্তি । কঁথির নন্দকুমার পুষ্করিণী।