পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$$ মেদিনীপুরের ইতিহাস । কলিঙ্গ একটি অনাৰ্য্য-নিবাস বলিয়। উক্ত হইয়াছে। কিন্তু মহাভারতরচনার সময় উহা বজীয়-গিরিশোভিত এবং সতত দ্বিজগণসেবিত পুণ্যস্থান বলিয়া বিবেচিত হইয়াছিল। মহাভারতের বনপৰ্ব্বে দেখা বায়ু, কলিঙ্গের রাজা শ্রুতায়ু কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধে দুৰ্য্যোধনের পক্ষে থাকিয়া ভীমের হস্তে নিহত হন। মহাভারতে তাম্রলিপ্তের নামও দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু মনুসংহিতা বা রামায়ণে তাম্রলিপ্তের নাম নাই। অনুমান, তখনও তাম্রলিপ্তে দ্রবিড়জাতির প্রাধান্ত ছিল— আর্য্যদিগের আধিপত্য তখনও তাম্রলিপ্তে স্থাপিত হয় নাই । তাম্রলিপ্তের নামোৎপত্তি সম্বন্ধে নানা প্রকার উপাখ্যান শ্রুত হওয়া যায় এবং নানা গ্রন্থে ইহার নানা প্রকার নামও দৃষ্ট হয়। মহাভারতে ইহার নাম ‘তাম্রলিপ্ত’, ভারতকোষে ‘তাম্রলিপ্তী, ত্রিকাগুশেষে বেলাকুল’, ‘তাম্রলিপ্ত’, ‘তাম্রলিপ্তি’ sাম্রলি প্তর নামৰ ও তমালিকা’, হেমচন্দ্র অভিধানে দামলিপ্ত’, ‘তমালিনী’ ও ‘বিষ্ণুহ’, শস্বরত্নাবলীতে তমোলিপ্ত’ এবং শব্দকল্পদ্রুমে "ইহার ‘তমোলিপ্তী’ নাম দেখিতে পাওয়া যায়। এতদ্ভিন্ন চীনদেশীয় বৌদ্ধ পরিব্র;ণকগণের গ্রন্থে ইহা তমোলিতি, তন্মোলিক্তি’ প্রভূতি নামেও পরিচিত। এই সকল নামের অপভ্রংশে পরবত্তিকালে তমলুক’ নাম হইয়াছে। তাম্রলিপ্তের নামোৎপত্তি সম্বন্ধে দিগ্বিজয়প্রকাশ নামক সংস্কৃত ভৌগোলিক গ্রন্থে লিখিত আছে-- "eে tংলপতি কিংস্ট্রর রীভূতো হি চারুণ । সমুদ্রপ্রান্তভূমৌ চ নিমগ্ন-১:তিমোহিত ॥ ৫৬ অরুণাধ্যসারথেশ্চ লেপনাৎ নৃপশেখর। তাম্রলিপ্তমতো লোকে গায়ন্তি পূৰ্ব্ববাসিনঃ ॥" ৫৭