কয়েক মাস এই বিষয় আলোচনা করিয়া অল্পবয়স্ক অপরাধীদিগের স্বতন্ত্র বিদ্যালয় থাকা অতিশয় প্রয়ােজনীয়, এই সম্বন্ধে একখানি পুস্তক লিখেন। সমাজের মঙ্গলের জন্য যে, তিন প্রকার বিদ্যালয়ের প্রয়ােজন, তাহা এই পুস্তকে তিনি সাধারণকে বুঝাইতে চেষ্টা করেন। প্রথমতঃ অবৈতনিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয়তঃ শিল্পবিদ্যালয়, তৃতীয়তঃ অল্পবয়স্ক অপরাধীদিগের জন্য জেলখানার পরিবর্তে সংশােধন-কারাগার অথবা বিদ্যালয়। তিনি এই পুস্তকে সুন্দর যুক্তি এবং বহু সত্য ঘটনা দ্বারা সংশােধন-বিদ্যালয়ের আবশ্যকতা প্রতিপন্ন করেন। এই বিদ্যালয়ের জন্য কোন্ উপায় এবং কি কি নিয়ম অবলম্বন করিতে হইবে, তাহাও এই পুস্তকে লিপিবদ্ধ করেন। ইংলণ্ডের লােক ইতঃপূর্ব্বে কখনও এই বিষয়ের চিন্তা করেন নাই; কিন্তু, মেরী কার্পেণ্টারের একাগ্রতা এবং একনিষ্ঠার ফলে তাঁহারা এবিষয়ে মনােযােগ দিতে বাধ্য হন। তাঁহারই যত্নে এসম্বন্ধে দুইটি সভা হয় এবং তাহাতে অল্পবয়স্ক অল্পবয়স্ক অপরাধীদিগের সম্বন্ধে তাঁহার অভিজ্ঞতা ও তাহাদের উদ্ধারের উপায়, সভার সমক্ষে বিবৃত করেন। পার্লামেণ্টেও তাঁহার বক্তব্য উপস্থিত করা হয়। কিন্তু আইন দ্বারা এই প্রয়ােজনীয় বিষয় সিদ্ধ হইবার শীঘ্র কোন সম্ভাবনা তিনি দেখিলেন না।
পাতা:মেরী কার্পেন্টার - কুমুদিনী মিত্র.pdf/৩৭
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেরী কার্পেণ্টার্।
২৫