পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । دریانو প্রতিকূল। চিন্তা, তর্ক তাহাদিগকে সাবধান করিতে পারে না, বুদ্ধি তাহাদিগের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ দিতে সক্ষম নহে। পরাক্রান্ত ও শিক্ষিত জাতির নরপতিগণ যে খৃষ্টধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়াছেন, ইহার কারণ এই যে, তাহারা খৃষ্টধৰ্ম্মের অলৌকিকত্ব শুনিয়া বিচারশক্তির সাহায্য না লইয়াই উহা গ্রহণ করিয়াছিলেন।” ইছলামের অপ্রতিহত কৃতকার্য্যতা খৃষ্টানদিগের বিশ্বাস শিথিল করিয়া দিয়াছিল এবং উহারা ইছলাম বিস্তৃতির মধ্যে স্থষ্টিকৰ্ত্তার নির্দেশ উপলব্ধি করিয়াছিল। তাহারা বুঝিয়াছিল যে, র্তাহার সাহায্য ব্যতীত তৎস্থঃ মানবগণ স্বল্প কাল মধ্যে এইরূপ পার্থিব উন্নতি লাভে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে না । মোছলেমদিগের অপ্রতিহত প্রভাব ইছলামের সত্যতার প্রমাণ দিয়াছিল। জাতি ও স্থান নিৰ্ব্বিশেষে ইছলাম সকলকে এক ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করিয়াছিল। মধ্যযুগের দ্বিতীয় ধৰ্ম্মযুদ্ধে খৃষ্টীয় তীর্থর্যাত্রিগণ মোছলেমদিগের ভদ্রতা, । দয়ালুতা ও সদ্ব্যবহারে এত মুগ্ধ এবং অপর পক্ষে তাহাদের সমধৰ্ম্মাবলম্বী গ্রীকদিগের নিষ্ঠুরতায় এত ব্যথিত হইয়াছিল যে, তাহারা দলে দলে স্বেচ্ছ প্রণোদিত হইয়া মোছলেমদিগের ধৰ্ম্ম অবলম্বন কুরিয়াছিল। কথিত আছে, তিন সহস্র খৃষ্টান ছেলৰ্জুক তুর্কীদিগের সহিত ধৰ্ম্মে যোগদান করিয়াছিল। ছালাহদিনের শৌর্যবীৰ্য্য ও চরিত্রবল খৃষ্টানদিগের মনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল। কোন কোন নেতৃস্থানীয় বীরপুরুষ র্তাহার প্রতি এইরূপ আকৃষ্ট হইয়াছিল যে, তাহারা স্বধৰ্ম্ম পরিত্ন্যাগ করিয়া ইছলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিল। ১১৮৫ খৃঃ অব্দে রবার্ট নামক জনৈক ইংরেজ টেম্পলার ইছলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া অবশেষে ছালাহ দিনের পৌত্রীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন। যখন জেরুশালেম মোছলেম হস্তে পতিত হইয়াছিল, তখন প্যালেষ্টাইনের খৃষ্ঠানগণ নূতন মনিবকে সাদরে আহ্বান করিয়া সুখ স্বচ্ছন্দতার সহিত কালাতিপাত করিয়াছিল।