পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ মোছলেম জগতের ইতিহাস । ৭৮৯ খৃষ্টাব্দে মরক্কো দেশে ইছলাম প্রবর্তিত হয়। ১৪শ শতাব্দীতে টিউনিসবাসিগণ ইছলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করে । আরব অধিকারের পরেও খৃষ্টীয় গীর্জাগুলি অক্ষুণ্ণ ছিল। মোট কথা, উত্তর আফ্রিকায় বহুকাল যাবৎ খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রচলিত ছিল। আরব শাসকগণ অধিবাসিদিগকে যথেচ্ছ ধৰ্ম্মলোচনা করিতে অনুমতি দিয়াছিলেন। খৃষ্টানগণ পোপের প্রাধান্ত স্বীকার করিত এবং মোছলেম শাসকদিগকে রাজভক্তি প্রদর্শন ও বিশ্বস্তভাবে সেবা করিত। ইহা হইতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, আফ্রিকায়ও তরবারীর সাহায্যে মোছলেম ধৰ্ম্ম প্রবর্তিত হয় নাই । ১৩• • বৎসর পর্য্যন্ত আফ্রিকা মহাদেশে ইছলাম প্রচলিত। এই বিস্তৃত ভূভাগের ষ্ট্র অংশ অধিবাসীর ধৰ্ম্ম “ইছলাম”। নবম শতাব্দীতে শাহার মধ্যে প্রথম ইছলাম প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। শাহারা হইতে সুদান পৰ্য্যস্ত ক্রমে ইছলাম বিস্তৃত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে চা-ট্রবের চতুষ্পার্থে দৃঢ়ৰূপে ইছলাম প্রতিষ্ঠিত হয়। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে আলজিরিয়ায় ইছলাম প্রবৰ্ত্তিত হয়। [ ত্রিপলির ( ১ ) বিদ্যালয়, ফেজের বিশ্ববিদ্যালয় ও কায়রোর আলআজহার সৰ্ব্বদেশ প্রসিদ্ধ। এই সকল মোছলেম সভ্যতা ও শিক্ষোন্নতির পরিচায়ক ] । ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে ছি-দি-মোহাম্মদ ইবনে আল ছিনুছি কর্তৃক একটা ধৰ্ম্ম সমিতি গঠিত হয়। ইহার সভ্যগণ কোরআনের অনুশাসন সম্পূর্ণরূপে কার্য্যে পরিণত করেন। ইহারা মাজার জেয়ারত বিশেষভাবে নিষেধ করেন। ইহার তাম্রকুট কিংবা কফি পান করেন না। ইহার য়িহুদী কিংবা খৃষ্টানদিগের সংঘর্ষে আসেন না। ইহারা ইছলামের উন্নতির জন্ত একটা অর্থভাণ্ডার স্থাপন করিয়াছেন। ত্যাগ স্বীকার করিতে ইহার সর্বদা প্রস্তুত। এই সম্প্রদায় সমস্ত উত্তর আফ্রিকায় শাহার ও সুদান