যশোহর-খুলনার ইতিহাস را ه لا বিজয়াদিত্য ও গ্রতাপের জীবদ্দশায় ভূমিষ্ঠ হন। তাহার ও বিবাহের উল্লেখ ঘটক কারিকায় আছে। সম্ভবতঃ শেষ যুদ্ধের পর বিজয়াদিত্য জীবিত ছিলেন এবং তাহার বিবাহ পরে হইয়াছিল। আমরা পরে এই বিষয়ের বিশেষ আলোচনা করিব । (৭) অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত যদুনাথ সরকার মহোদয় “বহারিস্তান” নামক ফার্সী গ্রন্থের অনুবাদ করিয়া সম্প্রতি প্রতাপাদিত্য বম্বন্ধে যে নূতন সংবাদ প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা হইতে জানিতে পারি (১৬০৮ খৃষ্টাব্দের শেষ ভাগে) প্রতাপাদিত্যের দূত সেথ বদী ঐ রাজার কনিষ্ঠপুত্র সংগ্রাম আদিত্যকে সঙ্গে করিয়া আনিয়া রাজমহলে নবাব ইসলাম খার সহিত সাক্ষাৎ করাইল ।” * ংগ্রামাদিত্য যে প্রতাপের কনিষ্ঠপুত্র তাহা এই কারিকা হইতে জানা গেল। পূৰ্ব্বে ইহা জানা ছিল না। (৮) গাভবসু বংশীয় পরমানন্দ রায় গুণানন্দের কন্থা ভবানী দেবীকে বিবাহ করেন। এবং তদবধি তিনি কুলগ্রন্থ নিচয়ে “ভবানীপরমানন্দরায়” এরূপ জোড়ানামে পরিচিত হইয়াছেন। ভবানী দেবী বসন্তরায়ের কন্যা নহেন। } কারিকায় ও তাহ দেখিতে পাইনা। পরমানন্দ ও বসন্তরায় উভয়ে ১৪ পর্য্যায় ভূক্ত। পরমানন্দের সহিত ১৫ পর্য্যায়ের কন্যার বিবাহ হয় নাই। (৯) রামচন্দ্রগুহের সরকারী কার্য্যে নিয়োগের পর হইতে তাহার “নিয়োগী” উপাধি হয়। ক্রমে তদ্বংশীয় দিগের প্রতিপত্তি বাড়ীতে থাকে, নিয়োগীর পুত্ৰগণ “মজুমদার” উপাধি পান, এবং মজুমদারের পুত্রগণ রাজা হন এবং “রায়” উপাধি ধারণ করেন। উপাধির সঙ্গে সঙ্গে অনেকের আদি বা রাশি নাম ও বদলাইতে থাকে। শ্ৰীহরি ও জানকীবল্লভের নামের পরিবর্তন আমরা জানি। বসন্তরায়ের একটি ভ্রাতা ছিলেন কৃষ্ণদাস গুহ ; তাহার নাম পরিবর্তন হইয়া বিদ্যাধর রায় হইয়াছিল। এইরূপে বসন্তরায়ের পুত্র চণ্ডীদাস গুহের নাম হয়—জগদানন্দ রায়। বরিশাল-দেহেরগাতির প্রসিদ্ধ ঘটকগণের কুলগ্রন্থ হইতে আমি যে বিবরণ গ্রহণ করিয়াছি, তাহা হইতে দেখা যায়, প্রতাপ ও তাহার পুত্ৰগণের সকলেরই প্রবাসী, ১৩২৭. কাৰ্ত্তিক ২ পৃঃ + “বঙ্গীয় সমাজ" ২, পৃঃ
পাতা:যশোহর-খুল্নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪০
অবয়ব