পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>89 যশোহর-খুলনার ইতিহাস মধ্যে প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ছিল না। তৃতীয়তঃ ধূমঘাট সম্বন্ধে ভবিষ্ণুপুরাণে আছে ঃ– “যশোর-দেশ বিষয়ে যমুনেচ্ছাপ্রসঙ্গমে । ধূমঘটুপত্তনে চ ভবিষ্ণুন্তি ন সংশয়ঃ।” অর্থাৎ যমুনা ও ইছামতীর সঙ্গমস্থলে ধূমঘাট পত্তন ছিল; সেখানেই প্রতাপাদিত্যের রাজধানী। কিন্তু ঈশ্বরীপুর হইতে দক্ষিণে গিয়া আর কোথায়ও যমুনা ও ইছামতীর প্রত্যক্ষ মিলন হয় নাই। সুতরাং ঈশ্বরীপুরের দক্ষিণে প্রতাপের রাজধানী ছিল না। (৩) খ্ৰীযুক্ত নিখিলবাৰু বলেন, প্রতাপের রাজধানী সগর দ্বীপে ছিল। • নিজের মত স্থাপন জন্ত তিনি প্রধানতঃ দুইটি প্রমাণ উপস্থিত করিয়াছেন । প্রথমতঃ তিনি ধরিয়া লইয়াছেন যশোর ও ধূমঘাট সংলগ্ন স্থান। স্বতরাং যশোর হইতে কার্ভালোর হত্যার সংবাদ চ্যাণ্ডিকানে পৌছিতে এক দিনেরও অধিক সময় লাগিতে পারে, অতএব চ্যাণ্ডিকান যশোর হইতে খুব দূরে অবস্থিত। ইহার উত্তরে এই বলা যায়, প্রতাপাদিত্য কর্তৃক বা তাহার জ্ঞাতসারে কার্ভালোর হত্য যদি সত্যই হইয়াছিল ধরিয়া লই, তাহা হইলেও সে সংবাদ ধুমঘাটস্থ মিশনরীগণকে না জানাইয়৷ যতক্ষণ চাপিয়া রাখা যায়, তাহার চেষ্ট হইতে পারে ; তজ্জন্ত সংবাদ পৌছিতে বিলম্ব হওয়া সম্ভব। নিখিলবাবু সগর দ্বীপকে চ্যাণ্ডিকান ধরিয়া লইয়া বলেন, যশোর হইতে সগর দ্বীপ বহু দূৰ্ববৰ্ত্ত বলিয়৷ এরূপ বিলম্ব হইয়াছিল। কিন্তু যত সময় লাগিয়াছিল, এখনও তদপেক্ষ বেশী সময় লাগে। কিন্তু “সে সময়ে দ্রুত জলযানযোগে সৰ্ব্বদ গতায়াত হইত” বলিয়া নিখিলবাবু যে কৈফিয়ৎ দিয়াছেন, তাহ মানিয়া লওয়া যায় না । দ্বিতীয়তঃ নিখিলবাবুর অন্ত প্রমাণ এই যে, বিভারিজ প্রভৃতি লেখকগণ কোন ম্যাপে চ্যাণ্ডিকানের উল্লেখ না দেখিলেও তিনি ১৯০৫ অব্দে প্রকাশিত সার টমাস রো’র মানচিত্রে; Ile" de Chandican” বা চ্যাণ্ডিকান দ্বীপের অবস্থান আছে

  • নিখিল বাবুর "প্রতাপাদিতা" ১৩৬-৪৫ পৃঃ।

છે, ૪૬૭ পৃঃ

  1. *-* wow Glasgow” oftto "Purchas his Pilgrimes” ston চতুৰ্থখাও এই stafsats Sir Thomas Roe's map fini Effats watts i "estrifish” ss. 행: