পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধি-বিগ্ৰহ Տե՛ծ তাহাতে বহুদূর হইতে হাজার হাজার লোক আসিয়া সমবেত হইত এবং সে তীর্থ ক্ষেত্রের খ্যাতি সৰ্ব্বত্র বিস্তৃত হইয় পড়িল। প্রতাপের শাসন-কৌশলে দম্য দিগের সৰ্ব্ববিধ অত্যাচার হইতে ঐ স্থান রক্ষা পাইল। সগরদ্বীপ হইতে আরম্ভ করিয়া ধূমঘাট পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বত্র রণতরী দ্বারা পাহারা বসিয়া গেল । তখন হইতে ঐ দীর্ঘ জল-পথের নাম হইয়াছিল-“ফিরিঙ্গি ফাড়ি ” কারণ ঐ ফাড়ি ফিরিঙ্গি জাতীয় প্রধান কৰ্ম্মচারীদ্বারা সুরক্ষিত হইয়াছিল। সে কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি ; একটা পৃথক পরিচ্ছেদে এই ফিরিঙ্গি ফাড়ির শাসন শৃঙ্খলা ও উপকারিতার পরিচয় দিয়াছি। এখানে তাহার পুনরুল্লেখ নিম্প্রয়োজন। নানা ক্ষুদ্র বৃহৎ নদীপথে চুকিয়া বম্বেটে ফিরিঙ্গি ও মগ প্রভৃতি দস্থ্যরা যখন তখন ফাড়ি অতিক্রম করিতে চেষ্টা করিত, তাহার ফলে কতস্থানে কত খণ্ড যুদ্ধ বাধিত, তাহ নির্ণয় করিবার কোন পন্থা নাই। মালঞ্চ হইতে যমুনাপর্যন্ত বিস্তৃত এক দোয়ানিয়া খাল দিয়া দম্বাদল একবার ধূমঘাটের দিকে অনেকদূর অগ্রসর হইয়াছিল, শেষে পরাজিত হইয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হইল। ঐ দোয়ানিয়া তদবধি ফিরিঙ্গির দোয়ানির নামে চিহ্নিত হষ্টয়া রহিল। আমরা পূৰ্ব্ববৰ্ত্ত একটি পরিচ্ছেদে এইসকল দস্যদের পাশবিক অত্যাচার কাহিনী বর্ণনা করিয়াছি। তাহাদের ভয়ে দেশের লোক কম্পিত হইত। প্রতাপাদিত্য সুকৌশলে সগরদ্বীপ হইতে শিবসার মোহান পৰ্য্যন্ত নানা স্থানে দুর্গ সংস্থাপন করিয়া, অসংখ্য রণতরী দ্বারা এই অত্যাচার হইতে নিজের রাজ্য রক্ষা করিয়াছিলেন। তিনি নিজ রাজ্য রক্ষার জন্ত উত্তর দিকে যাওয়ার পথ বন্ধ করিয়া অন্ত রাজা-রক্ষারও হেতু হইয়াছিলেন। প্রতাপের বলবীর্ঘ্যে দেশের যদি অন্ত কোন উপকার না হইয়া থাকে, তবু এই দম্বাদের দমন করিয়া তিনি দেশবাসীর আশীৰ্ব্বাদ সঞ্চয় করিয়াছিলেন। যশোর রাজ্যের পূর্বসীমা পার হইয়া বরিশাল অঞ্চলে, এবং এমন কি, যশোহর জেলার উত্তরাংশেও অনেক স্থানে সমাজের গাত্ৰে দহাদিগের অত্যাচারের কলঙ্করেখা এখনও আছে, किङ्खु তাহার নিজ রাজ্যে সুন্দরবনের উত্তরাংশে কোথায় তেমন কোন পরীবাদ নাই। ইহা একটা লক্ষ্য করিবার বিষয় । বাস্তবিকই বরিশাল প্রদেশে এই সময় এই সকল দস্থ্যর উৎপাত কিছু বেশী হইয়াছিল। এই সময়ে বস্তুবংশীয় কন্দৰ্প নারায়ণ রায় চন্দ্রদ্বীপ বা বাকুলার রাজা ; তিনি প্রসিদ্ধ বারভুঞার অন্যতম এবং মহাপরাক্রান্ত নৃপতি । ఇవీళీ