পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানসিংহের আক্রমণ obo পরিচয় ছিল। ভবানন্দের যশোহরে চাকরী করা অস্বীকার করিলেও, সে স্থানে র্তাহার বারংবার যাওয়া অস্বীকার করা যায় না। রাজসরকারের সহিত ঘনিষ্ট ংস্রব ব্যতীত তখন কেহ বারংবার সেই সুদূর মুন্দরবনের রাজধানীতে যাইত বলিয়াও মনে হয় না। যাহা হউক, সক্ষেপত: আমাদের বিশ্বাস এই, সপ্তগ্রামে কানুনগো দপ্তরে চাকরি করার পূৰ্ব্বে তিনি যশোহরে ছিলেন এবং হয়তঃ বসন্ত রায়ের মৃত্যুর পর প্রতাপের সহিত অসদ্ভাব বশতঃ বা রূপবস্থর চক্রাপ্তে যশোহর ত্যাগ করেন। এমনও কথিত আছে, তিনি কচুরায়ের সঙ্গে আগ্রা বা রাজমহলেও গিয়াছিলেন, কিন্তু ততদূর আমরা বিশ্বাস করি না । , বর্ষ থামিবমাত্র মানসিংহ চাপড়া হইতে নিষ্ক্রান্তু হটলেন ; এই ঝড়ে প্রতাপাদিত্যের নৌ-বিভাগেরও যথেষ্ট ক্ষতি হইয়াছিল। ফিরিঙ্গি রড প্রভৃতি সেনানীর অধীন কয়েকখানি জাহাজ যমুনার মুখে গঙ্গায় ছিল ; মানসিংহের পথরোধ উহাদের উদ্দেশ্য। উক্ত ঝড়ে উহার কতগুলি জাহাজ ভগ্ন ও মগ্ন হয় এবং সৈন্তগণ বিপন্ন হইয় পড়ে । যাহারা আত্মরক্ষা করিতে পারিয়াছিল তাঙ্গর রায়গড়ের দিকে প্রস্থান করিল। কচুরায় যখন সঙ্গে ছিলেন, তখন মানসিংহ সৰ্ব্বপ্রথমে রায়গড় অধিকার করিবার জন্যও যাইতে পারেন, এরূপ আশঙ্কা ছিল । সুতরাং নৌ-বাহিনীদ্বারা সে দিক সংরক্ষিত হইল । মানসিংহ দ্রুতগতিতে রাণাঘাটের সন্নিকটে চূর্ণ পার হুইয়। চাকদতে পৌছিলেন। এ পর্যন্ত তিনি বাদশাহী সড়ক বা গৌড় বঙ্গের পুরাতন রাস্তায় আসিতেছিলেন। অতি পূৰ্ব্বকাল হইতে এই রাস্তায় সৈন্ত চলাচল করিত। চাকদহ হইতে সেই রাস্তায় ঘোড়াগাছ, সুবর্ণপুর, লাউপালা ও ফতেপুর দিয়া জাগুলিয়ায় পৌছিলেন। জাগুলিয়া একটি প্রধান পল্লী, তথা হইতে বাদশাহী সড়ক সোজা দক্ষিণে বারাসত পৰ্য্যস্ত গিয়াছিল। কিন্তু মানসিংহ সম্ভবতঃ সে রাস্তায় না গিয়া আর যে একটি ক্ষুদ্র পথ দক্ষিণ-পূৰ্ব্বমুখে হাবড়ার দিকে গিয়াছিল, বিলের মধ্য দিয়া সেই রাস্ত উচ্চ করিয়া বাধতে বাধিতে, সৈন্তদশ শ্ৰীকৃষ্ণপুরের মধ্য দিয়া হাবড় ডান দিকে রাখিয়া বৰ্ত্তমান মছলনলুর ষ্টেশন বা রাজবল্লভপুরের নিকট পৌছিল, হরে গুড়ির যে রাস্তা চারঘাটে গিয়াছিল, এই রাস্ত তাহার সহত মিশিয়াছিল। মাঠের মধ্য দিয়া উভয় রাস্তার চিত্ন আছে এবং সাধারণ লোকে এখনও উহা চিনাইয়া দিয়া থাকে। এখন ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডের যে