૭કં8 ৰশোহর-খুললার ইতিহাস সুন্দর সরল পথ মছলন্দপুর হইতে বাদুড়িয়া পৰ্য্যন্ত গিয়াছে, উহার অধিকাংশই মানসিংহের নবগঠিত গৌড়-বঙ্গের রাস্তার উপর দিয়া গিয়াছে। অজানা অচেম নিম্ন-বঙ্গে ত্বরিত গতিতে পথ রচনা করিতে করিতে বিরাট মোগল-বাহিনী কেমন করিয়া সস্তপণে অগ্রসর হইতেছিল, সেই সৰ পুরাতন কাহিনীর চিস্ত লইয়া আমি মানসিংহের এই রাস্তায় বহু মাইল পৰ্য্যন্ত পদব্রজে ভ্রমণ করিয়াছি। মানসিংহ কোথায়ও থামেন নাই বা কোথায়ও তাহাকে বাধা দেওয়া হয় নাই। যমুনার মুখে, ত্রিবেণীতে বা চারঘাটে, যমুনা ইচ্ছামতীর সঙ্গমস্থলে তাহাকে নৌপথে বাধা দিবার স্থান ছিল। কিন্তু তাহার সৈন্ত দল যখন পদব্রজে চলিতেছে সংবাদ পাওয়া গেল, তপন রণতরী সমূহ সরিয়া গিয়া বসন্তপুরের সন্নিকটে চমুনার মধ্যে অবস্থিতি করিল। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, মোগল সৈন্যদলে অশ্বারোহী প্রধান সম্বল এবং পদাতিক সংখ্যা কম। সে পদাতিকগণ সিক্তবাত নিম্নধঙ্গে, সুন্দরবনের জল কৰ্দমের মধ্যে অধিক দিন তিষ্ঠিতে পারেন। এইজন্ত, মানসিংহ যখন নৌপথে আসিতেছেন না, তখন তাহাকে পথে বাধা দেওয়া হইল না, রাজ্যমধ্যে নিরুদ্বেগে প্রবেশ করিতে দেওয়া হইল। যুদ্ধের ফল যাহাই হউক, সে প্রদেশে মোগল সৈন্ত বেশী দিন আত্মরক্ষা করিতে পারিবে না। মুখবিলাসী মানসিংহ ক্রমেই প্রমাদ গণিলেন। কিন্তু অগ্রসর না হইয়া উপায় নাই । মছলন্দপুর ছাড়িয়া তীহাকে কোলহুর ও সিমুলিয়ার মাঝে পদ্মানদী পার হইতে হইয়াছিল বটে,কিন্তু সেখানেও কোন বিঘ্ন ঘটে নাই। পাশ্ববৰ্ত্ত স্থানের লোকজন শত্রুভয়ে দেশ ছাড়িয়া পলাইয়া ইছামতীর পূর্ব পারে আশ্রয় লইতেছিল। মানসিংহ যখন চাকদহ হইতে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হইতেছিলেন, তখন পার্শ্ববর্তী প্রধান প্রধান জমিদার ও প্রতাপাদিত্যের কিল্লাদার দিগের নিকট দূত প্রেরণ করিয়া তাহাদিগকে ভীতি প্রদর্শন পূর্বক স্বপক্ষভুক্ত করিতেছিলেন। এই সময়ে যাহারা বস্ততা স্বীকার করিয়া বাদশাহী ফৌজের সাহায্য করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে চাচড়ার রাজবংশের পূৰ্ব্বপুরুষ, ভবেশ্বর রায়ের পুত্ৰ মহতাবরাম ধ৷ মুকুটরায় সৰ্ব্বপ্রধান। • (২৪৮ পৃঃ) তিনি যশোর রাজ্যের উত্তর সীমান্তে প্রধান কিল্লাদার । তিনি সৈন্ত ও রসদ পাঠাইয়াছিলেন এবং গঙ্গর ফলে তার পুৰ্ব্বগৃহীত চারি
*
• Westland's Jessore, p. 45.