পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধশোহর-খুলনার ইতিহাস سراياشا করিলেন। ১৬০৯ অব্দের জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী এইস্থানে কাটিয় গেল। তবুও প্রতাপাদিত্য বা সত্ৰাজিৎ আসিলেন না। তখন নবাব পুনরায় উত্তর দিকে কুচ (march) আরম্ভ করিলেন এবং কিছুদূরে ফতেপুর নামক স্থানে পৌঁছিয়া পুনরায় একমাস অপেক্ষা করিলেন। সেখানে সত্রাজিৎ ১৮টি হাতী উপহার দিয়া দেখা করিলেন। ৩০ শে মার্চ পুনরায় সেখান হইতে কুচ চলিল। পথে অন্তান্ত ভূঞাগণ উপহার দিয়া গেলেন। আরও একটু উত্তর দিকে আত্ৰেয়ী নদীর তীরে, বর্তমান নাটোরের ১৫ মাইল উত্তরে বজ্রপুর নামক স্থানে ২৬শে এপ্রিল তারিখে সেখ বদীর সহিত প্রতাপাদিত্য আসিয়া নবাবের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। তিনি ৬টি হাতী, নানা মূল্যবান দ্রব্য, কপূর, অগুরু, এবং নগদ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা উপহার দিলেন । * বহারিস্তন হইতে আমরা জানিতে পারি, এই সাক্ষাৎকালে “ইসলাম খ। তাহাকে অত্যন্ত সম্মানের সহিত অভ্যর্থনা করিলেন এবং মিষ্ট কথাবাৰ্ত্ত কহিতে থাকিলেন। তাহার পর এই সৰ্ত্তে র্তাহাকে বিদায় দিলেন যে দেশে ফিরিয়া (তিনি) তাঙ্গার পুত্র ও যুদ্ধনৌকাগুলি বাদশাহী নওয়ারার সহিত যোগদান করিতে পাঠাইবেন এবং যখন বর্ষার শেযে নবাব স্বয়ং তাটি প্রদেশের জমিদারদিগের বিরুদ্ধে যাত্রা করিবেন, তখন প্রতাপ সসৈন্তে বাদশাহী সেনাপতিদের সহিত মিলিত হইয়া যুদ্ধ করিবেন। প্রথমতঃ প্রতাপ কনিষ্ঠ পুত্র সংগ্রামাদিত্যের সহিত ৪০০ রণপোত পাঠাইবেন এবং বর্ষাশেষে স্বয়ং আরও একশত নৌকা (একুনে পাঁচ শত), এক হাজার অশ্বারোহী এবং বিশ হাজার পদাতিক সৈন্ত লইয়া আন্দল থা (আড়িয়াল খ) নদীর পথে গিয়া শ্ৰীপুর ও বিক্রমপুর আক্রমণ করিয়া ভাটির জমিদার মুসা খাঁ মসনদ-ই আলাকে ব্যতিব্যস্ত ফরিয়া তুলিবেন ; এইরূপ প্রতিজ্ঞ করিলেন।” { প্রতাপাদিত্যের মত পরাক্রান্ত ভূঞা এইভাবে সাহায্য করিলে, নবাবের পক্ষে ভাটি রাজ্যের সমস্ত রাজন্তবর্গকে করতলস্থ করা সহজ হইবে। ভেদ নীতির প্রবর্তন দ্বারা তাহার অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে। ইসলাম খাঁ প্রতাপাদিত্যের স্বীকারোক্তিতে সন্তুষ্ট হষ্টয়, তাহাকে শ্রীপুর ও বিক্রমপুরের জমিদারী পুরস্কার

  • लडौएकब्र बयन, यबांनी, s७३७, १०७: । + “এৰাগীতে” প্রজ্ঞাপাদিত্যের পতন শীর্ষক প্রবন্ধ, ১৩২৭। কাৰিক, পৃঃ।