পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86b. যশোহর-খুলনার ইতিহাস হইয়াছিল বলিয়া মনে হয় না। সম্ভবতঃ হুগলী, বৰ্দ্ধমান ও মেদিনীপুর প্রভৃতি স্থানের ফৌজদারী ভার জবরদস্ত থাকে অর্পিত হইয়াছিল । তিনি ঢাকা হইতে নৌবাহিনী সাজাইয়া লইয়া আসিয়া ভগবান গোলার সন্নিকটে রহিম থাকে ভীষণ ভাবে পরাজিত করিলেন। বাদশাহ যে কেবল নূর উল্যার প্রতি অধস্তুষ্ট হইয়াছিলেন, তাহা নহে ; তিনি অকৰ্ম্মণাত দোষে ইব্রাহিম খাকেও পদচ্যুত করিয়া নিজ পৌত্র আজিম উশ্বানকে মুবাদার করিয়া পাঠাইলেন । কিন্তু যখন সম্রাট-পৌত্র আসিয়া জবরদস্তের বীরত্বের কিছুমাত্র সমাদর করিলেন না, তখন তিনি অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ হইয়া পিতার সহিত বঙ্গত্যাগ করিলেন । * সম্ভবতঃ এই সময় হইতে নূর উল্যা খাঁ কেবল মাত্র যশোহরের ফৌজদারী পদে প্রতিষ্ঠিত রছিলেন ; কারণ তিনি আরও কয়েক বৎসর কাল যশোহরের শাসন কার্য্যে নিযুক্ত ছিলেন বলিয়া জানা যায়। ১৭১০ খৃষ্টাব্দ হইতে হুগলীর ফৌজদারী সম্পূর্ণ পৃথক হইয়া যায়। বহুকাল পরে ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দে নূর উল্যার দুই প্রপৌত্র যশোহরের কালেক্টর সাহেবের নিকট বৃত্তি-ভিখারী হইয় যে দরখাস্ত করিয়াছিলেন, ওয়েষ্টল্যাণ্ড সাহেব তাহার অবিকল প্রতিলিপি প্রকাশিত করিয়াছেন। উহা হইতে যেটুকু সত্যের উদ্ধার করা যায়, তাহা সংক্ষেপত: এই—লুর উলার মৃত্যুর পর তৎপুত্র মীর খলিল কিছুকাল ফৌজদার ছিলেন । তৎপুত্র দায়েম উল্য ও কায়েম উলা নাবালক বলিয়া ফৌজদার পদ পান না এবং পরে উভয়ে বিবাদ করিয়া পরস্পরের হত্যা সাধন করেন। সম্ভবতঃ বঙ্গেশ্বর নবাব মুজা উদীনের সময় যশোহরের ফৌজদারী মুর্শিদাবাদে উঠি যায়। যশোহরের প্রধান প্রধান পরগণাগুলি চাচড়ার রাজা ও অন্তান্ত জমিদারের হস্তগত হইয়া পড়ায় এবং মুর্শিদকুলি খাঁর সময় ঐ সব পরগণার বন্দোবস্ত হয় ; সে জন্ত যশোহরে কোন শাসন কেন্দ্র রাখিবার প্রয়োজন ছিল না। তখন উক্ত দায়েম উল্যা ও কায়েম উল্যার দুই পুত্র ছিদায়েত উলা ও রহমং উল্যা নিরাশ্রয় হইয়া পড়েন, তাহার নবাব সরকার হইতে কোন সাহায্য পান না ; বহুদিন পর্য্যস্ত চাচড়ার রাজার বৃত্তিতে তাহাদের জীবিক নিৰ্ব্বাহ হয়। পরে চাচড়ার দুর্দশা উপস্থিত হইলে, উভয়ে নিরুপায় হইয়৷

  • Reaz pp. 234-7, Stewart p. 384. f Westland's Report p. 40.