পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গে বারভুঞ Šማ যাহার কোন না কোন প্রসঙ্গে এই মোগল-পাঠানের সন্ধিযুগের ইতিহাস আলোচনা করিয়াছেন, তাহারাই দ্বাদশ ভৌমিকের পরিচয় দিতে বা র্তাহাদের সংখ্যাপূর্ণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন এবং নানা জনে নানা ভাবে এই সংখ্যা পূরণ করিয়াছেন। কোন একটি নির্দিষ্ট বৎসরের উল্লেখ না করিলে,সেই বৎসরের নির্দিষ্ট সংখ্যক ভৌমিকগণের নামোল্লেখ করা যায় না। বৎসরানুসারে সেরূপ হিসাব ইতিহাসে কোথাও নাই। পাইলেও সে সংখ্যা সব বৎসর বারজন হইত কি না সন্দেহ। বঙ্গের ইতিহাস তখন এমনভাবে নিত্য পরিবর্তিত হইতেছিল যে, কোন বংসর বার জন ভৌমিক থাকিলেও দুই এক বর্ষের মধ্যে তাহার অনেক পরিবর্তন হইত। এইরূপে ভূঞাদিগের প্রাদুর্ভাবের সময় সম্বন্ধে বিতর্ক আছে এবং থাকিতেও পারে ; তবে আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি, তাছাদের কয়েকজনের সম্বন্ধে কোন মতভেদ নাই ; আবার উহারাই ভুঞ শ্রেণীতে প্রধান এবং তাহাদিগেরই সহিত রাজনৈতিক ব্যাপার লইয়া যশোহর-খুলনার সম্পর্ক দেখিতে পাওয়া যায়। এইজন্ত আমরা প্রথমতঃ ভুঞাদিগের নামোল্লেখ ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় মাত্ৰ দিয়া প্রতাপাদিত্যের ইতিহাস আরম্ভ করিব এবং সেই ইতিহাসের সহিত ভূঞাগণের সম্বন্ধ যথাস্থানে উল্লেখ করিব। ভৌমিকগণের দ্বাদশ সংখ্যা পূর্ণ করিতে হইলে, আমরা নিম্নলিখিত কয়েকজন প্রধান ব্যক্তির নাম করিতে পারি। নতুবা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভৌমিকের সংখ্যা বেশী ছিল । ১ । ঈশা খাঁ মসনদ-আলি (থিজিরপুর বা কত্রাভূ)। ২। প্রতাপাদিত্য ( যশোহর বা চ্যাণ্ডিকান )। ৩। চাদরায়, কেদার রায় ( শ্রীপুর বা বিক্রমপুর ) । ৪। কন্দৰ্প রায় ও রামচন্দ্র রায় (বাকৃল বা চন্দ্রদ্বীপ )। ৫। লক্ষ্মণমাণিক্য ( ভুলুর ) । ৬। মুকুন্দরাম রায় (ভূষণ বা ফতেহাবাদ)। ৭ ফজলগাজী, চাদগাজী ( ভাওয়াল ও চাদপ্রতাপ)। ৮। হামীর মল্ল বা বীর হাম্বীর (বিষ্ণুপুর)। ৯ । কংসনারায়ণ (তাহিরপুর )। ১০ । রামকৃষ্ণ (সাতৈর বা সাস্তোল ) ।