পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস ماره তথাপি এতটুকু করিতেও সীতারাম সন্মত হইলেন না কেন ? এই জন্তই মনে হয় যে, আত্মবংশ বা আত্ম-পরিবারকে ধন-গৌরবে গৌরবান্বিত করিবার জন্ত সীতারাম ব্যাকুল হন নাই ; বাহুবলে স্বাধীন রাজ্য গঠন করিবার জন্তই_অগ্রসর কুইয়াছিলেন । এই অনুমান নিতান্ত কাল্পনিক নহে ; সীতারামের ইতিহাস পড়িতে বসিলে, ইহা ভিন্ন অন্ত কোন অনুমান সম্ভব বলিয়া স্বীকার করা যায় না।” (শ্ৰীঅক্ষয় কুমার মৈত্রেয়-প্রণীত “সীতারাম,” ৬৯-৭০ পৃ: )। আমরা এ পর্য্যন্ত সীতারামের কার্য্যাবলীর যে পরিচয় দিয়াছি, তাহ পর্য্যালোচনা করিলে পাঠক মাত্রই প্রবীণ ঐতিহাসিকের এই সিদ্ধান্তকে সমীচীন বলিয়া গ্রহণ করিবেন। এদিকে মুর্শিদাবাদে আবু তোরাপের মৃত্যুর সংবাদ পৌছিল। অল্পদিন হইল ফরথশিয়ুর দিল্লীশ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুর্শিদকুলি খা' বঙ্গের মসনদে সমাসীন হইবার আদেশ পাইয়াছেন। ব্যক্তিগত ভাবে আবু তোরাপের উপর তাহার বিরক্তি থাকিতে পারে, কিন্তু আজ মোগল ফৌজদার নিহত হওয়ায় তাহার অবস্থা সমস্ত-সস্কুল হইয় দাড়াইয়াছে। আবু তোরাপ, বাদশাহের ঘনিষ্ট আত্মীয় এবং দিল্লীর দরবারে অনেক বড় বড় আমীর তাহার আত্মীয় বন্ধু ছিলেন। এতদিন কুলি খাঁ ভূষণার ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন, ফৌজদারের প্রার্থনামত কোন সৈন্ত সাহায্য পাঠান নাই, একজন নগণ্য জমিদার মোগলের হাত হইতে ভূষণার দুর্গ কাড়িয়া লইয়াছে, এ সকল কথা দরবারে উঠিলে, মুর্শিদকুলি নিশ্চয়ই তাহার অমনোযোগিতার জন্ত-তিরস্কৃত হইবেন ; আর বাদশাহের কুটুম্বের প্রতি তাহার মানসিক আক্রোশের কথা প্রকাশ পাইলে, অনর্থের উৎপত্তি হইতে পারে। সুতরাং অতিরিক্ত কৰ্ম্মতৎপরতার দ্বারা ব্যাপারটাকে একেবারেই চাপ দিবার জন্ত দৃঢ়চিত্ত কুলি খা উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন। তিনি অবিলম্বে স্বীয় খালীপতি বক্স আলি থাকে • ভূষণায় ফৌজদার নিযুক্ত করিয়া সৈন্তসহ পাঠাইলেন। মহম্মদপুরের নিকটবৰ্ত্তী সমস্ত জমিদারের উপর কঠোর পরওয়ান জারি হইয়া গেল যে, সকলেই যেন মোগল ফৌজদারকে সাহায্য করিবার জন্ত প্রস্তুত থাকেন, কেহ যেন সীতারামকে কোন প্রকার রসদ বা সৈন্ত দিয়া সাহায্য • রিঙ্গে এই নামটি হাসান আলি খাঁ বলিয়া আছে। ইয়ার্ট প্রভৃতি সকলেই বন্ধ खणि १देिaitश्न । -