পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$2 e যশোহর-খুলনার ইতিহাস । বসিয়া তমসাময়ী রজনীর অবস্থা চিস্তা করিতে লাগিলাম। তখন সন্ধালোকে দূর হইতে আমাদের বৃক্ষারোহী সঙ্গী ডিঙ্গিখানি দেখিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল। একজন গাছে থাকিয়া নির্দেশ করিতে লাগিল এবং অন্য ২১ জন বন্দুক হন্তে ডিঙ্গির সন্ধানে ছুটিল। অবশেষে ডিঙ্গি পাওয়া গেল, কিন্তু দেখা গেল আমাদের পরিত্যক্ত কাপড় চোপড়ের উপর বানরে অনেক অনধিকার অত্যাচার করিয়৷ গিয়াছে ; কিন্তু তখন সে তদন্তের সময় ছিল না, ডিঙ্গি যে আছে, ইহাই যথেষ্ট। আমরা আনন্দে ঘন ঘন বংশীরবে দিগন্ত মুখরিত করিতে করিতে, অন্ধকারে সাবধানে নদীর দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলাম। সে দিনাস্তব্যাপী পরিশ্রম এবং সঙ্কটময় অভিযানের পর আমাদের সম্মিলিত হাস্তোচ্ছ সময় গল্পলহরী সেই দীপমী তরণীর কক্ষকে কিরূপ আনন্দময় করিয়া তুলিয়াছিল, তাহ উপভোগের বিষয় ছিল, কতকটা অনুভবের বিষয়ও হইতে পারে, কিন্তু বর্ণনার বিষয় হইতে পারে না। সুন্দরবনে ভ্রমণকারীকে সৈনিকের মত জীবন অবলম্বন করিতে হয়। একদিন আমরা সকালে বাহির হইয় ছিলাম ; কয়েকস্থানে ভগ্নাবশেষ পর্যাবেক্ষণ করিয়া পরিশ্রান্ত হইয়া বেলা ১২ টার সময় নৌকায় ফিরিয়া আসিলাম । নৌকায় উঠিবার পূৰ্ব্বেই গল্প শুনিলাম যে এক বাওয়ালী নলিনী বাবুকে সংবাদ দিয়াছে যে তাহার প্রাতে কামার পুকুরে মাছ ধরিতে গিয়া দুইটী বাঘ দেখিয়া আসিয়াছে—উচ্চার একটি কালো এবং একটি হলদে। কত গল্প শুনিয়াছি, কিন্তু বাঘ যে কালো হয়, এ গল্প আমরা কখনও শুনি নাই। বাঘের কৃষ্ণত্বে বিশ্বাস না করিলেও অস্তিত্বে বিশ্বাস ন করিয়া পারিলাম না । সুতরাং তখনই তাহার সন্ধানে আমাদের ডিঙ্গি ভাসাইয়৷ চলিলাম ; অভিভাবকের সুব্যবস্থায় আমাদের দগ্ধ পাকস্থলীর জন্য একটি ঝুনা নারিকেল ও কিছু গুড় তাড়াতাড়ি করিয়া ডিজিতে নিক্ষিপ্ত হইল। তাড়াতাড়ি করিলেও আমরা জাল এবং মাছ স্থাখিবার খালুই লইতে তুলি নাই। সেখের খাল যেখানে শিবসানদীতে মিশিয়াছে, সেইস্থান ডিজিখানি গোলের শিকড়ে বাধিয়া আমরা তীরে উঠিলাম এবং সজ্জিত বঞ্চুর ভরসা ও বাবদেখিবার আশা চুপে চপে পা টিপিয়া চলিতে লাগিলাম। জাপান এক তিল বাটার ভাবিশিষ্ট প্রকাও ইষ্টকৰূপেৰ সমীপবর্তী হইলাং তাহারই পার্থে দেখিলাম একটি পোস্ত বাধা পুকুরের গাজা ইষ্টৰ গঞ্জ তাদির তাজির পড়িয়াছে। একটি ক্ষুদ্র খাল আসিয়া পুকুরকে জীীি