পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨૭ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । গ্রেমভাগ (বৰ্ত্তমান পমভাগ ) —ইহা লইয়া নগরীটি ৪ মাইল দীর্ঘ ও চারিমাইল প্রস্থ হইবে। বহির্ভাগ হইতে রাজব পশ্চিমে কপোতাক্ষ ও পূৰ্ব্বে চিত্রা পর্যন্ত ছিল। দেবভাগে নগরীর প্রধান প্রধান দেবালয় ছিল, উহার নিদর্শন আছে। তপোবনভাগে নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণগণের বাস ছিল, এখনও তপনভাগ একটি ব্রাহ্মণ প্রধান প্রসিদ্ধ স্থান। প্রেমভাগে পান্থনিবাস, দেবালয় প্রভৃতি থাকিবার সম্ভব । জগন্নাথপুরের মত প্রেমভাগও সে সময়ে সেখহাটির এক পারে ছিল । দক্ষিণে দেবপাড়া ( বর্তমান দেয়াপাড়া ) নামক স্থানেও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত ছিল, এখানেও অনেক ব্রাহ্মণের বাস আছে। উত্তর পশ্চিম কোণে এই নগরীর বাজার হাট ছিল, হয়ত সেখহাটি নামও পূৰ্ব্বে সেনহট্ট, শঙ্করহট্ট, শঙ্খহট্ট, বা শাখ হাট ছিল। পাঠান আমলে সেস্থানে সেখের বাসহেতু “সেখপাড়া” গ্রাম হইলে হাটের নাম ও সেখহাটি হইয়া গিয়াছে। এখন নিকটবৰ্ত্তী শাখারি গাতি, বাণিয়াগাতি কিছু পৰ্ব্ব পরিচয় দিতেছে। সেনহট্ট সম্বন্ধে আমরা পরে আলোচনা করিব । দ্বিতীয়তঃ যেদিকে দেবভাগ অবস্থিত, সেই অংশে একটি স্থানকে বিজয়তলা বলে। স্থানীয় প্রবাদ এই—ঐ স্থানে বিজয়সেন রাজার বাড়ী ছিল । তিনি যে একটি দেবমন্দির নিম্মাণ করেন, তাহার ভগ্নাবশেষ আছে এবং তাহার সন্নিকটে একখানি পর্ণ কুটীরে দেবীর উদ্দেশে নিত্য পূজা হয়। এই মন্দিরের ভগ্নচিহ্ন যে চতুদিকে আরও কত ভগ্নাবশেষ দ্বারা পরিব্যাপ্ত রহিয়াছে, তাহা বলা যায় না। সমস্ত জঙ্গলাকীর্ণ স্থানটি কতকগুলি প্রকাণ্ড অচিনের গাছের ৫ অন্ধকারময়ী ছায়ায় সমাচ্ছন্ন হইয়া, মানুষের বসতিনিলয়ের বহুদূরে থাকিয়া, ভয়াতুরের রোমাঞ্চ সঞ্চার করিয়া থাকে। প্রবাদ একেবারে প্রত্যাখ্যাত হইবার নহে। উক্ত বিজয়সেন মহারাজ বল্লাল সেনের পিতা। তিনি বরেন্দ্রে প্রাদুর্ভূত হইবার পূৰ্ব্বে, সম্ভবতঃ র্তাহার লিপি পাওয়া গিয়াছিল । ( J. A S. B. Vol. XI, IV, ) এখানেও তপনভাগেৰ এক কোণে এক প্রকাও দীঘি আছে, উহ। উত্তর দক্ষিণে দীঘি ৭•• x ৪০০ হাত হুইবে ; উঃার পার্শ্ব । বৰ্ত্তী গ্রামের নাম দীঘির পাড়।

  • অচেনা বা অজানিত বৃক্ষ। এরূপ গাছ আমাদের দেশে নাই। বটজাতীয় বৃক্ষ, পাতাগুলি কতকটা যজ্ঞডুম্বরের মত, ইহাতে এক নূতন রকমের ফল হয় । কোন কোন প্রাচীন DTDDBBB BBDD BB DDS BB BBBBB BBBBBB BBB BBB BB BB স্থানটিকে জঙ্গলাকীর্ণ করিয়া রাখিয়াছে, তেমন আর অন্তর দেখি নাই ।