পাতা:যাঁদের দেখেছি - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যাঁদের দেখেছি

মোহনবাগানকে বিজয়গৌরবে গরীয়ান করেছিল প্রধানতঃ শিবদাসের প্রতিভাই।

 আমি তখন গভর্নমেণ্ট আর্ট-স্কুলে ছাত্র। মার্কাস স্কোয়ারে গিয়ে প্রতিদিন ক্রিকেট-ফুটবল-হকি খেলারও চর্চা করি কিছু কিছু। আমার তখনকার সমসাময়িক খেলোয়াড়দের মধ্যে ডোঙাবাবু, হাবুলবাবু ও স্বর্গীয় ভূতি সুকুল পরে মোহনবাগানের দলে যোগ দিয়েও যশস্বী হয়েছিলেন (শেষোক্ত দুইজন তো “শীল্ড” বিজয়ী দলেরও মধ্যে ছিলেন)। আর্টস্কুল থেকে বাড়ী ফেরবার আগে প্রত্যহই গড়ের মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলা দেখে আসতুম। সেই সময়ে আমার চোখের সামনেই মোহনবাগান প্রথম “ট্রেড্‌স্‌ কাপ” লাভ ক’রে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। তখনকার দিনে ঐ প্রতিযোগিতার গৌরব ছিল আজকের চেয়ে অনেক বেশী। কিন্তু মোহনবাগান উপর-উপরি তিন-তিনবার “ট্রেড্‌স্‌ কাপ” জিতে “চ্যাম্পিয়ন” আখ্যা লাভ করে। তখন তার প্রধান প্রতিযোগী ছিল মেডিকেল মিলিটারি ও ন্যাসন্যাল স্পোর্টিংয়ের দল। প্রথমোক্ত দলটিতে খেলত আ্যংলো-ইণ্ডিয়ানরা এবং তাদের উইলিয়মস্ নামে এক দীর্ঘদেহ যুবকের নিপুণ খেলা এখনো আমার মনে আছে। শেষোক্ত দলটির সব খেলোয়াড়ই ছিলেন বাঙালী এবং তাঁদের গোলরক্ষক বাঁকাবাবু তখন খুব নামজাদা। ‘ন্যাসন্যালে’র আর এক খেলোয়াড় ছিলেন ক্ষেত্রবাবু। ছোটখাটো বেঁটে মানুষটি, কিন্তু তাঁর অগ্রগতি রোধ করা ছিল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। স্মরণ আছে, এক বৎসর ‘ন্যাসন্যালে’র বিরুদ্ধে উপর-উপরি তিন দিন খেলে মোহনবাগান জয়ী হ’তে পেরেছিল।

 কেবল তিনবার “ট্রেড্‌স্‌ কাপ” জয় করার জন্যে নয়, আর এক বিশেষ কারণে মোহনবাগানের নাম ফিরতে লাগল লোকের মুখে

১৫১