পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাত্রাবদল لميا8 হয়ে এসেচে, নীলামওয়ালার গাছে জল দেয় নি, তেমন যত্ন করে নি-সে। লজ্জিত মুখে দোকানের মালিক একজন ফিরিঙ্গি ছোকরাকে বল্পে-গাছটার তেমন তেজ নেই-এই গরমে জল না পেলে, দেখতে ভাল না দেখালে বিক্রী হবে কেন ? জল কোথায় আছে আমি নিজে না হয়-কারণ দু’পয়সা আসে, আমারই তো <吋死夺一 তারপর থেকে যেন পয়সার জন্যেই করচে, এই অছিলায় রোজ বিকেলে নীলামওয়ালার দোকানে গিয়ে গাছে জ্বল দিত। একএকদিন দেখতে দোকানের চাকরের আগে থেকেই জল দিয়েচে । রোজ নীলামের ডাকের সময় সে সেখানে উপস্থিত থাকতো । তার গাছটার দিকে চেয়েও দেখে না-লোকে চেয়ার, টেবিল, সোফা, আলমারী কিনচে, ভাঙ্গা পুরোনো ক্লিক ঘড়ী পৰ্য্যন্ত বিক্রী হয়ে গেল, কিন্তু গাছের সখ খুব বেশী লোকের নেই, গাছটা আর বিক্ৰী হয় না। একদিন নীলামওয়ালা বল্লে-বাবু, গাছটার তো সুবিধে হচ্ছে না, তুমি নিয়ে যাবে ফেবৎ ? কিন্তু ফেরৎ নিয়ে গিয়ে তার রাখবার জায়গা নেই, থাকলে এখানে সে বিক্রীর জন্যে দিয়েই বা যাবে কেন ? সে সময় তার অত্যন্ত খারাপ সময় যাচ্চে, চাকুরীর চেষ্টায় আকাশ পাতাল হাতড়েও কোথাও কিছু মিলচে না-নিজের থাকবার জায়গা নেই তো পিপে কাটা কাঠের টবে বসানো অত বড় গাছ রাখে কোথায় ? মাস খানেক পরে হিমাংশুর অবস্থা এমন হোল যে আর কলকাতায় থাকাই চলে না। কলকাতার বাইরে যাবার আগে গাছটার একটা কিনারা হ’য়ে গেলে ও মনে শান্তি পেত । কিন্তু আজও যা, কালও তাই-নীলামওয়ালাকে কমিশনের রেটু আরও বাড়িয়ে দিতে হয়েচে গাছটা রাখবার জন্য, নৈলে সে দোকানে রাখতে চায় না। কিন্তু হিমাংশুর দুর্ভাবনা এই ষে, ও কলকাতা ছেড়ে চলে গেলে গাছটার আর যত্ন হবে না, নীলাম ওয়ালার দায় পড়েচে, কোথাকার একটা