পাতা:যাত্রাবদল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qbሦ যাত্রাবদল বিদ্যুৎ বেগে এ-সংবাদ গ্ৰামময় রাষ্ট্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারাণ রায়ের বাড়ীতে রথযাত্রার ভিড় শুরু হোল। ননীর স্ত্রী বেশ সুন্দরী, একটু মোটাসোটা, কথাবাৰ্ত্তায় খুব অমায়িক, বড়মানখী চালচলন একেবারে নেই। ননীকে ছেলেবেলায় দেখেচে, এমন অনেক লোকই গায়ে আছে-সবাই বলাবলি করতে লাগলো : একেই বলে আদেষ্ট ! ওর মা ওর হাত ধরে কঁদতে কঁদতে গা ছেড়ে গিয়েছিল, আর আজ দ্যাখো কাণ্ড ! ভগবান যাকে যখন लJान- देऊTालि । পষ্ণু বলেন : আহা, সকাল বেলাতেই তাে বলছিলাম, এ গা ছেড়ে যে বাইরে পা দিয়েচে সে-ই উন্নতি করেচে-কেউ বেশী, কেউ কম । আজ যদি আমি গায়ে বসে থেকে নিজেকে মাটী না করি, তবে আমার কি এ-দশা হয় ? নাএবার বেরুতে হবে । দেখি একবার ননী বাবাজীকেই বলে দেখি, যদি কিছু যোগাড়ী-টোগাড় করে দিতে পায়ে । ননীর অবস্থা পরিবর্তনে গ্রামের কেহই অসুখী নয়, বরং সকলেই আনন্দিত । কারণ ননীর সঙ্গে এ গ্রামের কারো স্বার্থের সংঘাত নেই, ননী এখানে বাসও করে না।--তা’ছাড়া সবাই ননীকে শেষবার যখন দেখেচে, তখন ননী ছিল ছোট ছেলেতার সম্পর্কে কোনো হিংসা দ্বন্দ্বের স্মৃতি কারো মনে গড়ে ওঠেনি-ছোট ছেলের ওপর স্নেহের স্মৃতি ছাড়া | বিকেলে বাধানো বটতলায় প্ৰকাণ্ড মজলিস বসেচে-মাঝখানে গাছের গুড়ি ঠেস দিয়ে বসে। ননী—তাকে গোলাকারে ঘিরে গায়ের বালক, বৃদ্ধ ও যুবার দল। কি ক’রে সে বড়লোক হােল, এ কথা সবাই শুনতে চায়। শ্ৰীপতি কৰ্ম্মকার ওপাড়ার একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ৷ তামাকের ব্যবসা করে তিনি হাতে দু’পয়সা জমিয়েচেন সবাই বলে, যদিও শ্ৰীপতি তা স্বীকার করেন না। শ্ৰীপতির সঙ্গে ননীর বাবা রাজেন, বাঁড়িয্যের খুব বন্ধুত্ব ছিল, ননীর আসবার