যোগতত্ত-বারিধি । ২৮৫ ாங் গুলি প্রথমোক্ত দুই শ্ৰেী দ্বারা গঠিত, এবং মন্ত্রশস্ত্রে এইগুলি বিশেষ আগবশুকীয় । f কুণ্ডলিনী হইতে শব্দ যখন কোন নাড়ীর শেষ পর্য্যস্ত গমন করে, তখন শব্দের পরা অবস্থা, নাড়ীর মধ্য দিয়া যখন প্রবাহিত হইতে থাকে, তখন তা হার পশুস্তি অবস্থা, নাড়ীর গলা পর্য্যন্ত মধ্যম-অবস্থ}, এবং যখন শব্দ গলা হইতে মুখে উপনীত হয়, তখনই তাহার বৈখারি অবস্থা । অক্ষর গুলি বা শব্দ পাচভাগে বিভক্ত। পঞ্চভূত হইতে সমুদয় অক্ষরের উৎপত্তি । যে যে ভূতের যে যে অক্ষর, তাহা শাস্ত্রে. এই নির্দিষ্ট হইয়াছে। যথা,— বায়ু —ক খ গ ঘ ঙ অ আ ঋ অ: শ ষ । অগ্নি—চ ছ জ ঝ ঞ ই ঈ ঋ, ক্ষ র । । পৃথিবী—ট ঠ ড ঢ ণ উ উ ৯ ষ ল । জল— ত থ দ ধ ন এ ই স ঐ । আকাশ – প ফ ব ভ ম ও ঔ ং ঃ 名杰 উদেখা সিদ্ধির জন্য কতকগুলি শব্দের মিলনই মন্ত্র । তাই মন্ত্র এক বা ততোধিক পদসমষ্টি মাত্র । তবে সহস্ৰ পদের অধিক মন্ত্র হয় না । কোন নির্দিষ্ট ফললাভ করিবার জন্য এক, দুই বা ততোধিক পদসমষ্টির ( বৈজ্ঞানিক উপায়ে শব্দের মিলন ) প্রয়োজন । এই শব্দের মিলন বা পদসমষ্টির ক্ষমতা অসীম । এই গুলি এবং চারিপদবিশিষ্ট মন্ত্রগুলির আর বিশেষ করিয়া বিশ্লেষণ করিবার আবশু্যকতা নাই । কিন্তু পাচ বা ততোধিক পদসমষ্টিযুক্ত মন্ত্রগুলি অতি অল্পসংখ্যক বীজ হইতে উৎপন্ন । বহুপদ-সমষ্টিযুক্ত মন্ত্রগুলির দেবতার নাম উল্লেখ নাই । তবে যে বীজ হইতে উহার উৎপন্ন হইয়াছে, তাহা বিশদরূপে জানিতে পারিলে অতি , সহজেই দেৱতার
