পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । סר פו வியா ചബം ব্ৰহ্মচৰ্য্য –ব্রহ্মচৰ্য্য-শব্দের অর্থ শুক্ৰধারণ । শরীরে যদি শুক্ৰধাতু প্রতিষ্ঠিত থাকে, বিকৃত না হয়, স্থলিত না হয়, অটল, অচল বা স্থির থাকে, ধৃত থাকে, তাহা হইলে বুদ্ধীন্দ্রিয়ের ও মনের শক্তি বৃদ্ধি হয় । চিত্তের প্রকাশ-শক্তি বাড়িয়া যায় । রাগ-দ্বেষাদি অন্তৰ্হিত হয়, কামক্রোধাদি হ্রাস হইয়া পড়ে। অতএব শুক্ৰধাতুকে অবিকৃত, অস্থলিত ও অবিচলিত রাখিবার জন্য রসপূর্বক বা কামভাবে স্ত্রীলোকের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দশন ও স্পর্শনাদি পরিত্যাগ করিবে । ক্রীড়া হাস্ত্য ও পরিহাস ৰজ্জন করিবে । তাহাদিগের রূপ-লাবণ্য মনেও করিতে নাই। শুক্র । ত্যাগকে বিষবৎ পরিত্যাগ করিবে । কিছুদিন এইরূপ করিলে ব্রহ্মচর্য্য প্রতিষ্ঠা হইবে । তখন সাধকের প্রাণে ব্রহ্মতেজ আসিবে, মনে বল, চিত্তে স্মৃত্ত্বি ও স্বভাবে কবিত্ব প্রকাশ হইবে । * অপরিগ্রহ –পরের নিকট হইতে গ্রহণ করাকে পরিগ্রহ বলে। চৌর্য্য যেমন অসৎ কৰ্ম্ম, পরের নিকটে দান গ্রহণ ও তদ্রুপ অসৎকাৰ্য্য। পরের নিকটে যে দান গ্রহণ করে, এইজন্য শাস্ত্রে তাহাকে তত বলে । যেহেতু গ্রহীতার মনের উপরে দাতার মন কাৰ্য্য করিতে থাকে, ইহাতে গ্রহী তা দাতার অধীন হইয় পড়ে,—মন তাহার মনে র, দোষাদি প্রাপ্ত হয় । অতএব কদাচ পরিগ্রহ করিবে না । এই গুলি যখন কায়িক, বাচিক ও দৈহিক এই তিনের উপর পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হইবে, তখনই যমসাধনা শেষ হইবে । তারপরে নিয়ম-সাধনা মারম্ভ করিবে । যম-সাধনা সম্বন্ধে দেশ, কাল, পত্র ও পুরুষ, স্ত্রী ও বালকের পক্ষে خصصطعد

  • মৎপ্রণীত “ব্রহ্মচৰ্য্য শিক্ষা” নামক পুস্তকে ব্রহ্মচৰ্য্য রক্ষার গুপ্ত নিয়ম ও, প্রণালী প্রভৃতি লিখিত হইয়াছে। বিবাহিত ও অবিবাহিত সকলেই আত্মতৃপ্তি করিয়াও শুক্র ধরণে সক্ষম হইতে পরিবেশ ।