বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rన8 নােনি | তাৎপৰ্য্য।—ধীরগাম্ভীৰ্য্যযুক্ত প্রজ্ঞাবান পণ্ডি হইলেও যদি অশাদাস হয়, তবে তাহাকেও সৰ্ব্বলোকে ঐ আশা তৃণতুল্য লঘু করেন, যেহেতু আশাবশে সৰ্ব্বত্রই যাচক রূপে প্রতিপন্ন হন, “ তৃণালঘুতরোভিকু ইতি” নায়ে তাহাকে খাটই হইতে হয়, সুতরাং আশাকেই সৰ্ব্বত্রে বলবতী দেখা যায়, অতবে এ আশাকেই জয় করা আত্মশ্রেয় ইতিভাবঃ ॥ ৫০ ৷৷ অনন্তর বিষ্কাচলতটা অটবী দৃষ্টান্তে আশার স্বরূপ বর্ণনাদ্বারা রঘুনন্দন গাধিনন্দনকে কহিতেছেন । তদৰ্থে উক্ত হইয়াছে। যথা –(সংস্তীর্ণগহনেতি) । সংস্তীর্ণগহনাভীম। ঘনজালরজোময়ী। সান্ধকারোগ্রনীহার। তৃষ্ণাবিন্ধ্যমহাতটা || Q S || সংস্তীর্ণানিবিস্তীর্ণানি গহনানি, সাহসকার্যানারণ্যানিচ যস্যাং অথবাএকৈবর্তৃষ্ণ আশাকামলোভলম্পিট্যাদিভাবে শত্যুর্দশস্থলোকেষু বিস্তীর্ণাচার্সেীগহনাদুলক্ষ্যাচেতিকৰ্ম্মধারয়ঃ। এবং নিবিড়জালবন্ধনহেত্বাশাপাশগুণ প্রচুরানিবিড়লজ্জাধুলি প্রচুরাচ শিষ্টংস্পষ্টং ৷৷ ৫১ ৷৷ . অস্তার্থঃ | হে কুশিক্ষনন্দন মহর্ষে ! বিষ্কাচলতট অটবী যেমন অতি বিস্তীর্ণ, ভয়ানক রূপ, এবং ব্যাধ কর্তৃক পাতিত নিবিড়রূপে বহুজাল বন্ধনযুক্ত, ও রজোময়ী অর্থাৎ ধূলিপ্রচুরা, অন্ধকারময়ী, ঘোরতর উগ্র নীহারযুক্ত, তদ্রুপ জীবের বিষয়তৃষ্ণাও বিন্ধ্যাটবীর ন্যায় হয় ॥ ৫ ১ ॥ - অর্থাৎ –বিস্তর সাহস কাৰ্যাযুক্তহেতু অতি বিস্তীর্ণ এক তৃষ্ণা, কামলোভ লাম্পট্যাদি প্রচুরতর ভাবদ্বারা চতুর্দশ লোকে বিস্তীর্ণ গহনাকারারূপে অবস্থিত, মায়াপাশ স্বরূপ এজন্য দুলক্ষ্য নিবিড় জলবন্ধন ন্যায় পতিতা রহিয়াছে, তাহাতে প্রায়ই জীববন্ধনগ্রস্থ হইতেছে, রজোগুণ ইত্যর্থে ধূলি প্রচুর বলা হইয়াছে, অর্থাৎ ঐ ধুলাতে জীবের বিবেকও সৎসঙ্গরূপ নয়নদ্বয়কে অন্ধীভূত করিয়াছে, একারণ আশাকে অন্ধকারাবৃত বলা যায়, পৰ্ব্বত হইতে নীহার বর্ষণে যেমন জড়ীভূত হয়, আশাও মোহস্বরূপ নীহারে জনসকলকে সেইরূপ জড়ীভূত করিয়া রাখিয়াছে। এ নিমিত্ত মোহরূপ অগ্রনীহারা বলিয়া মুলে উল্লেখ করিয়াছেন, অতএব এই বিস্তীর্ণ গহন হইতে শীঘ্ৰ নিস্তীর্ণ হওয়াই উচিত ইতি রামাভিপ্রায়ঃ ॥ ৫১ ৷৷ অনন্তর স্ত্ররঘুনাথ রামচন্দ্র ক্ষীরোদ সাগরের বীটির সহিত তৃষ্ণার দৃষ্টান্ত দিয়া কুশিক নন্দন বিশ্বামিত্রকে কহিতেছেন। যথা -(একৈবেতি) ।