পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী ঢাকা কাশ্মীরের তন্ত্রে, কি শিল্প-চাতুরী। অপরূপ শোভা গুণে মন করে চুরি । এই দেশে কুঙ্কুম, কস্তুরী মৃগমদ । এই দেশে কালাগুরু, চন্দন বিশদ । এই দেশে মল্লিকা, যুথিকা, আর জাতি। এই দেশে মালতী, শ্বেতবী নানা ভাতি। এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, জায়ফল । জয়িত্রী, কর্প র, চুয়া, পুৰ্গ আদি ফল। এরূপ অনেক দ্রব্য জনমে এ দেশে । পূর্ব-পয়েধির দ্বীপমালায় বিশেষে।। আমোদে আমোদ পেয়ে প্রভাত-পবনে । হাস্যোদয় হয় বৃদ্ধ বারিধি-বদনে । সেই সব অপূর্ব সুগন্ধ দ্রব্যচয়। ভারতের নানা হাটে স্তুপে স্তুপে রয়। ভারতে না জন্মে যাহা, না জন্যে জগতে । জগতে সবৰ্বত্র ইহা খ্যাত ভালমতে । এই দেশে এতবিধ দ্রব্যের প্রকাশ । এই দেশে এতবিধ লোকের নিবাস । অন্য দেশে গতি-বিধি প্রয়োজন নাই। স্বধনে স্বদেশ ধনী হোক, এই চাই । লয়ে যাও যত পীর পেস্ত। তীখরোট । লয়ে যাও বেদfন। দffড়ম মোট মোট । পেয়েছি উত্তম অশূ, উঃ সারি সারি। ইহারা আমার পক্ষে হবে উপকারী । এ চেয়ে অনেক ধন অমূল্য রতন । তোমরা এ দেশ থেকে করেছ হরণ । লহ এক এক অশ্ব এক এক জন । ক্রতবেগে সিন্ধু পারে কর পলায়ন। ধন-আশে পুন: আর এস না এ দেশে । যদি এস প্রতিফল পাবে তার শেষে । এত বলি অণু দিয়ে করিল বিদায়। সেলাম করিয়ে পদে পাঠান পালায় । রজনী প্রভাত হৈল বিপাশার তীরে। রাজপুত্র সুনি পূজা করে তার নীরে । হর হর বম্ বম্ব শব্দ সুগভীর। অস্তরে বহন কবে প্রভাত-সমীর । সুনি পরে ক্ষুধা তৃষ্ণ করি নিবারণ। তরঙ্গে উঠিয়ে সবে করিল গমন । মধ্যাহের উপযোগ আতিথ্যে নির্ভর । গৃহস্থ পরম যত্নে করে সমাদর । একদা ঔরিণট-পুরে করিল প্রবেশ । যথায় নিবসে ক্ষত্রি কেশরী বিশেষ । বলবন্ত সুধীর মাণিক দেব রায় । । বছ জনশিয়, খ্যাতি রাজপুতনায়। গোহিল কুলের পতি, কুলধৰ্ম্মে স্থতি। পুকুতি প্রশান্ত, দান্ত সুনিৰ্ম্মল মতি। শুনামাত্র স্বীয় পুরে সাধুর আগতি। অনিতে তাহীকে যান স্বদল সংহতি । বাজিল মঙ্গলবাদ্য প্রতি ঘরে ঘরে । মঙ্গলাচরণ গীত হয় বামাস্বরে । বঁধিল বন্দনবার ত্রিপোলিয়া স্বাৰে । রচিল রচনা তাহে নানা ফুলহারে । আরোপিল আম-শাখা সুবর্ণ-কলসে । মারিল পথের ধূলা চন্দনের রসে। পতি গৃহশিখরে পতাকা বিরাজিত। সিতাসিত লোহিত হরিত নীল পীত । যেমনি ঢুকিল সাধু নগর-ভিতরে। অমনি রমণীগণ পুষ্পবৃষ্টি করে। আগ-বাড়াইয়া গিয়া ঔরিণট-ঈশূণ । সমাদৰে সুেহভরে লয়ে যান ঘর। পুণাম করিল সাধু তাহার চরণে। মাণিক্য তোষেণ তীরে প্রেম-আলিঙ্গনে । শিরোঘুণি লয়ে মুখচুম্বন অন্তরে। দেহ-গেহ-কুশল জিজ্ঞাসা পরস্পরে। হায় কোথা সে সকল সরল অীচীর । এখন এ দেশে নাই সে সব ব্যভার । প্রেম, ভক্তি, সুেহ আর শীলতা ভব্যতা । এ জগতে এই সব প্রকৃত সভ্যতা । কর পরস্পর আলিঙ্গন, মুসন্তাষ । ইহাতেই হৃদয়ের মুভাব প্রকাশ । ইথে নাহি পূতাবায়, নাই কিছু ব্যয়। এ সকল শিষ্টাচার কি হেতু বিলয় ? একেবারে সম্ভাব অভাব হিন্দুস্থানে। জাতি, জ্ঞাতি, বন্ধু বলি কে কাহারে মানে ? স্বল্প-ধন অভিমানে ফুলে উঠে কায়। কেব। ছোট কেবা বড় জানা নাহি যায়।