পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঞ্চীকাবেরী SSలి ধন্য ধন্য প্ৰজাগণ, ধন্য নরপতি । হায় কেন যুদ্ধানল উঠিল সম্প্রতি । সমর সংহার-সুত সহর্বশোভাহারী । সৰ্ব্বসুখ-সংহারক সর্বলোপকারী। কোথা রবে এই শোভা কিছু দিন পরে ? হায় রে ভ্রান্তর লীলা, এ ভব ভিতরে । ভাবিতে ভাবিতে উপনীত সিংহদ্বারে । দেীবারিক সমাচার জানায় রাজারে । আদেশ পাইলে, লয়ে গেল সনিধান । অপরূপ রাজসভা শোভার নিধান । চারিদিকে রক্ষিগণ, সনুদ্ধ শরীর । করে মুক্ত অসি, স্কন্ধে লম্বিত তুণীর। অবিরত উপায়ন পড়ে পদতলে । করযোড়ে দাড়াইয়। সামন্ত সকলে । অতি উচচ সিংহাসনে বসি কাঞ্চীপতি । মধ্যাহের বিভাবসু সম তেজ আতি । বামপাশে সোম্যমূৰ্ত্তি মহামাত্য বসি । গ্ৰহপতি-অস্তে যথা সমুদিত শশী । পত্র দিল তার করে উৎকলের দূত । পাঠমাত্র মহারোম হৃদয়ে সস্তুত । 孙可1 “গুন রে দুরাজা দুষ্ট পাপিষ্ঠ প্রকট। শৃগালের সম শঠ কপট নিপট । এত বড় স্পৰ্দ্ধা তোর, এত অভিমান । মানিয়াছ আপনারে ক্ষত্রিয়-প্রধান । দুহিতা লইয়ে দুষ্ট, উড়িষ্যায় গেলি । বিবাহ না দিয়ে কেন দেশে ফিরে এলি । আমারে চণ্ডাল বল, এত অহঙ্কার । এই আমি আসিয়াছি দিতে প্রতীকার । ছারখারে দিব আমি এ পাট কর্ণাট । ভাসাইব সিন্ধু জলে, দেখাইব নাট।। নিস্তার পাইবি যদি মম কোপানলে । নন্দিনী পদিনী আনি দেহ পদতলে । আমি তীরে চণ্ডালে করিব সমর্পণ । তবে সে হইবে মম ক্রোধের তপণ ॥" Հ{, জলস্ত অনলে কিবা হবির পতন । কিবা কালসপ-শিরে চরণ-ঘাতন । গরজিয়া উঠে রাজা শুনিয়া ভীষণ । দ্ধিনয়নে জলে কিবা হোম-হুতাশন । কিঞ্চিত হইলে শাস্ত, ক্ষণেক অস্তরে । আজ্ঞামত পূ ত্যুত্তর লিখে লিপিকরে। প্রত্যুত্তর । “আরে মূখ উড়ে মেঢ়া ! কি সাহস তোর আসনু তোমার কণেঠ মরণের ডোর । তোরে কি রে জগন্নাথ করে নাই মান । ছুছুন্দর হয়ে বেটা, সিংহপুরে হান । তোরে কন্যা দিব দুষ্ট ! বিজাত বৰ্ব্বর। ভেক চাহে ধরিবারে অপসরার কর । অসম্ভব এ বাসনা, আরে দুরাশয় । যজ্ঞ-হবি কুকুরের কভু ভোগ্য নয়। ভাসাইব সিন্ধুনীরে বরং পদ্মিনীরে। তবু তোরে কভু নাহি দিব নন্দিনীরে। তুই কি জানি রণ ? দূৰ্ব বেটা দূৰ্ব । রগুবন-ভুমে রাজা এরও ঠাকুর । দেখা যাবে জগন্নাথে কি দেবত্ব আছে। বসাইব আমি তারে গণেশের পাছে । সে তাবার দেবতা তাঁহারে কিবা ভয় ? করুক আমার ক্ষতি, যত সাধ্য হয়।” পত্র প্রাপ্ত হয়ে দূত হইল বিদায় । আতি বেগে আপন শিবিরে ফিরে যায় । পত্র পড়ি উৎকলেশ জলিল দ্বিগুণ। নিশ্বাস-প্ৰশ্বাস বহে যেন দাবীগুন । নিশাশেষে ঘন ঘন বাজিছে পটহ । সমরের উপক্রম সমাগতে আহ । কাবেরীর পরপারে দৃশ্য ভয়ঙ্কর । পঙ্গপাল মত সৈন্য ব্যাপ্ত দিগন্তর । হাতী, রথী, পদাতি, তুরঙ্গী, অগণন । নানারঙ্গে চতুরঙ্গে বাজিছে বাজন। উড়িষ্যার সেনাদল নদীপার হেতু । শৃঙখলে আবদ্ধ করে তরণীর সেতু । শত্ৰু-সেনা সন্নিকট হ'ল যে সময়। তরঙ্গিণী-তটে ঘোরতর যুদ্ধ হয়।