বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবীন্দ্রনাথ - অজিতকুমার চক্রবর্তী (১৯৬০).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

লাজের ঘায়ে উঠিতে চাই,
মনের মাঝে সাড়া না পাই,
মগ্ন হলেম আনন্দময়
অগাধ অগৌরবে
পাখির গানে— বাঁশির তানে—
কম্পিত পল্লবে!···
ভুলে গেলেম কিসের তরে
বাহির হলেম পথের ’পরে,
ঢেলে দিলেম চেতনা মোর
ছায়ায় গন্ধে গানে।

তখন দেখি, আর-একটি গভীর নিবিড় স্পর্শ সেই বিপুল বিরতির ভিতর হইতে পাওয়া গেল:

চেয়ে দেখি কখন এসে
দাঁড়িয়ে আছ শিয়রদেশে
তোমার হাসি দিয়ে আমার
অচৈতন্য ঢাকি।

 আমি জোর করিয়া বলিতেছি যে, এ কথা মনে করা ভুল হইবে যে, আপনার চিরাভ্যস্ত সৌন্দর্যপ্রিয় কবি-প্রকৃতির জন্য তিনি এমন করিয়া স্বদেশের কর্মক্ষেত্র হইতে বিদায় লইলেন। ভোগের জীবন অনেক দিনই শেষ হইয়া গিয়াছে— সে আমরা ‘কল্পনা’ ‘ক্ষণিকা’তেই দেখিয়া আসিয়াছি— কর্মের জীবন যখন তাহার সর্বোচ্চ সফলতা লাভ করিয়াছে তখন সেই কর্মের ফল হইতে নিজেকে বঞ্চিত করিবার মধ্যে একটা কঠিন আত্মপীড়ন আছে সে কথা আপনারা বিস্মৃত হইবেন না। সেই পীড়া এবং মুক্তির আনন্দ, সেই বৃহৎ উদার বিশ্বভুবনের মধ্যে

১১৬