বাল্যের যৌবনের এই প্রবল সৌন্দর্যের ও প্রেমের অনুভব যদি কেবল বিচ্ছিন্ন হৃদয়াবেগ মাত্র হইত, যদি এই সাক্ষিজীবনের মধ্যে ইহাদের কোনো অখণ্ডতা না থাকিত তবে সৌন্দর্যবোধের কোনো তাৎপর্যই থাকিত না। তবে জীবনের মধ্যে এ সকল সুখদুঃখের খেলার কোনো অর্থ ই ছিল না। সেই সাক্ষিজীবন সেই এক জীবন সেই নিত্য-পরিপূর্ণ জীবন আমাদেরই মধ্যে আছেন এবং আমাদেরই ভিতরে তাঁহার একটি অপরূপ অপূর্ব কাব্যকে রচনা করিতেছেন, এই কথা জানার জন্যই বাহিরেও ক্ষণে ক্ষণে উপলব্ধ সমস্ত বিচিত্র সৌন্দর্যমালা সেই একের মধ্যে গ্রথিত হইয়া একটি মূর্তি ধরিয়া উঠিতেছে:
এখন ভাসিছ তুমি
অনন্তের মাঝে; স্বর্গ হতে মর্তভূমি
করিছ বিহার; সন্ধ্যার কনকবর্ণে
রাঙিছ অঞ্চল; উষার গলিতস্বর্ণে
গড়িছ মেখলা; পূর্ণ তটিনীর জলে
করিছ বিস্তার তলতল-ছলছলে
ললিত যৌবনখানি···
সেই তুমি
মূর্তিতে দিবে কি ধরা? এই মর্তভূমি
পরশ করিবে রাঙা চরণের তলে?
অন্তরে বাহিরে বিশ্বে শূন্যে জলে স্থলে
সব ঠাই হ’তে সর্বময়ী আপনারে
করিয়া হরণ— ধরণীর এক ধারে
ধরিবে কি একখানি মধুর মুরতি?
মানসসুন্দরী বা মানসমূর্তির অর্থ বুঝিতে পারা যায়, কিন্তু আলোচ্য
৫৬