এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রাণে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন:
গাঁয়ের পথে চলেছিলেম
অকারণে।
বাতাস বহে বিকালবেলা
বেণুবনে।
কখনো মনটিকে কল্পনার দূর বৃন্দাবনের মধ্যে লইয়া গিয়া সেখানকার মধুর গোষ্ঠলীলাকে উপভোগ করিতেছেন; কখনো ‘কালিদাসের কালের’ লোধ্রকুরুবক শৌরসেনীর কল্পনাকে গাঁথিয়া তুলিতেছেন; কখনো:
নীলের কোলে শ্যামল সে দ্বীপ
প্রবাল দিয়ে ঘেরা,
শৈলচূড়ায় নীড় বেঁধেছে
সাগর-বিহঙ্গেরা—
সেইখানে বিশ্বসৌন্দর্যের বাণিজ্যে বাহির হইয়া পড়িতেছেন। গ্রামের কত সৌন্দর্য যে চক্ষে পড়িতেছে— ‘ভাঙনধরা কুলে আ-ঘাটাতে ব’সে রইলে, বেলা যাচ্ছে বয়ে’, সে সময় আপনারই অন্তরের তৃপ্তিতে এমন ভরপুর যে আর কিছুরই প্রয়োজন অনুভূত হইতেছে না:
ভাঙন-ধরা কূলে তোমার
আর কিছু কি চাই?
সে কহিল ভাই,
নাই নাই নাই গো আমার
কিছুতে কাজ নাই।
···
আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি
সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ।
৮৮