পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী দ্রুত লয়ে আউড়ে যেত লবকুশের ছড়া ; থাকত অামার খাতা লেখা, পড়ে থাকত পড়া— মনে মনে ইচ্ছে হত, যদিই কোনো ছলে ভর্তি হওয়া সহজ হত এই পাচলির দলে ভাবনা মাথায় চাপত নাকে ক্লাসে ওঠার দায়ে, গান শুনিয়ে চলে যে তুম নতুন নতুন গণয়ে । স্কুলের ছুটি হয়ে গেলে বাড়ির কাছে এসে হঠাৎ দেখি, মেঘ নেমেছে ছাদের কাছে ঘেঁষে । আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে, রাস্তা ভালে জলে, ঐরাবতের শুড় দেখা দেয় জল-ঢালা সব নলে । অন্ধকারে শোনা যেত রিমঝিমিনি ধারা, ாது রাজপুত্র তেপাস্তরে কোথা সে পথহারা । ম্যাপে যে-সব পাহাড় জানি, জানি যে-সব গাঙ কুয়েনসুন আর মিসিসিপি ইয়াংসিকিয়াং, জানার সঙ্গে আধেক-জানা, দূরের থেকে শোলা, নানা রঙের নালা স্বতোয় সব দিয়ে জাল-বোনা, নানারকম ধ্বনির সঙ্গে নানান চলাফেরা, সব দিয়ে এক হালকা জগৎ মন দিয়ে মোর ঘেরা, ভাবনাগুলো তারই মধ্যে ফিরত থাকি থাকি, বানের জলে শুীওলা যেমন, মেঘের তলে পাখি । দেশান্তরী প্রাণ-ধারণের বোঝাখাল বাধা পিঠের পরে, আকাল পড়ল, দিন চলে না, চলল দেশাস্তরে । দুর শহরে একটা কিছু বাবেই বাবে জুটে, * এই আশাতেই লগ্ন দেখে ভোরবেলাতে উঠে দুর্গ ব’লে বুক বেঁধে সে চলল ভাগ্যজয়ে, মা ভাকে না পিছুর ভগকে অমঙ্গলের ভয়ে ।