外邸@哑 ՀbO প্ৰলয়শক্তিকে আমার মাথার উপরে জড়ো করিতেছেন, তাহা অামি বুঝিতে পারিতেছিলাম। বিকে বলিলাম, “কই, আমি তো এখনো কোনো খবর পাই নাই।” ঝি আর-কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে সাহস না করিয়া নিশ্বাস ফেলিয়া চলিয়া গেল । * * ஆம். * অনেক রাত্রে আমার স্বামী আসিয়া কছিলেন, “দূরে এক জায়গায় আমার ডাক পড়িয়াছে, কাল ভোরেই আমাকে রওনা হইতে হইবে । বোধ করি ফিরিতে দিনদুই-তিন বিলম্ব হইতে পারে।” আমি শষ্য হইতে উঠিয়া দাড়াইয়া কছিলাম, "কেন আমাকে মিথ্যা বলিতেছ।” আমার স্বামী কম্পিত অস্ফুট কণ্ঠে কহিলেন, "মিথ্যা কী বলিলাম।” আমি কহিলাম, “তুমি বিবাহ করিতে যাইতেছ!” তিনি চুপ করিয়া রহিলেন। আমিও স্থির হইয়া দাড়াইয়া রহিলাম। অনেকক্ষণ ঘরে কোনো শব্দ রছিল না । শেষে আমি বলিলাম, “একটা উত্তর দাও । বলো, ইl, আমি বিবাহ করিতে যাইতেছি।” তিনি প্রতিধ্বনির ন্যায় উত্তর দিলেন, “হা, আমি বিবাহ করিতে যাইতেছি ।” আমি কহিলাম, "না, তুমি যাইতে পরিবে না। তোমাকে আমি এই মহাবিপদ মহাপাপ হইতে রক্ষা করিব। এ যদি না পারি তবে আমি তোমার কিসের স্ত্রী ; কী জন্য আমি শিবপূজা করিয়াছিলাম।” আবার অনেকক্ষণ গৃহ নিঃশব্দ হইয়া রহিল। আমি মাটিতে পড়িয়া স্বামীর পা জড়াইয়া ধরিয়া কহিলাম, “আমি তোমার কী অপরাধ করিয়াছি, কিলে আমার ক্রটি হইয়াছে, অন্ত স্ত্রীতে তোমার কিসের প্রয়োজন । মাথা খাও, সত্য করিয়া বলো ।” তখন আমার স্বামী ধীরে ধীরে কহিলেন, “সত্যই বলিতেছি, আমি তোমাকে ভয় করি । তোমার অন্ধতা তোমাকে এক অনন্ত আবরণে আবৃত করিয়া রাখিয়াছে, সেখানে আমার প্রবেশ করিবার জো নাই। তুমি আমার দেবতা, তুমি আমার দেবতার স্তায় ভয়ানক, তোমাকে লইয়া প্রতিদিন গৃহকাৰ্ধ করিতে পারি না। যাহাকে বকিব ঝকিব, রাগ করিব, লোহাগ করিব, গহনা গড়াইয়া দিব, এমন একটি সামান্ত রমণী আমি চাই ।” “আমার বুকের ভিতরে চিরিয়া দেখো! আমি সামান্ত রমণী, আমি মনের মধ্যে সেই নববিবাহের বালিকা বৈ কিছু নই ; আমি বিশ্বাস করিতে চাই, নির্ভর করিতে চাই, পূজা করিতে চাই ; তুমি নিজেকে অপমান করিয়া আমাকে দুঃসহ দুঃখ দিয়া
