পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ রবীন্দ্র-রচনাবলী সকলে উলুর চেষ্ট। নেপথ্যে উলু ও শঙ্খধ্বনি নিমাই। ওই যে উলুর জোগাড় করে রেখেছ, এতক্ষণে একটুখানি বিয়ের স্বর লাগল। নইলে কতকগুলো মিনসেয় মিলে যে রকম বেস্বরে লাগিয়েছিলে, বরযাত্রা কি গঙ্গাযাত্রা কিছু বোঝবার জো ছিল না। সকলের প্রস্থান ইন্দুমতী ও ক্ষান্তমণির প্রবেশ ক্ষান্তমণি। শুনলি তো ভাই আমার কর্তাটির মধুর কথাগুলি ? ইন্দুমতী । কেন ভাই আমার তো মন্দ লাগেনি । ক্ষান্তমণি । তোর মন্দ লাগবে কেন ? তোর তো আর বাজেনি । যার বেজেছে সেই জানে । ইন্দুমতী । তুমি যে আবার একেবারে ঠাট্টা সইতে পার না । তোমার স্বামী কিন্তু ভাই, তোমাকে সত্যি ভালোবাসে । দিনকতক বাপের বাড়ি গিয়ে বরং পরীক্ষা করে দেখো ন]– ক্ষাস্তমণি । তাই একবার ইচ্ছা করে, কিন্তু জানি থাকতে পারব না। তা যা হোক, এখন তোদের ওখানে যাই । ওরা তো বউবাজারের রাস্তা ঘুরে যাবে সে । এখনো ঢের দেরি আছে । ইন্দুমতী । তুমি এগোও ভাই, আমি তোমার স্বামীর এই বইগুলি গুছিয়ে দিয়ে যাই । ( ক্ষান্তমণির প্রস্থান ) আজ ললিতবাবু এমন চুপচাপ গম্ভীর হয়ে বসেছিলেন। কী কথা ভাবছিলেন কে জানে। সত্যি আমার জানতে ইচ্ছে করে । থেকে থেকে একটা খাতা খুলে দেখছিলেন । সেই পাতাটা ওই ভুলে ফেলে গেছেন । ওটা আমাকে দেখতে হচ্ছে । ( থাত খুলিয়া ) ও মা ! এ যে কবিতা ! কাদম্বিনীর প্রতি ! আ মরণ ! সে পোড়ারমুখী আবার কে । • জল দিবে অথবা বজ্র, ওগো কাদম্বিনী, হতভাগ্য চাতক তাই ভাবিছে দিনরজনী ! ইস ভারি যে অবস্থা খারাপ দেখছি ! এত বেশি ভাবনার কাজ কী ! আমি यनि ८नाफ़ांकशालौ कांनचिनैौ श्छूभ ङा इटल छनe निङ्भ ना बज्जe निङ्कभ नl, হতভাগা চাতকের মাথায় খানিকট কবিরাজের তেল ঢেলে দিতুম । খেয়ে দেয়ে তো কাজ নেই– কোথাকার কাদম্বিনীর নামে কবিতা, তাও আবার দুটো লাইন ছন্দ মেলেনি। এর চেয়ে আমি ভালো লিখতে পারি। iş